কাইফকে স্বস্তিতে থাকতে দেবেন না মৌলবাদীরা, ফের পড়লেন তোপের মুখে
ধর্মীয় মৌলবাদীদের তোপ থেকে আর বাঁচতে পারলেন না মহম্মদ কাইফ। ফের একবার আক্রমণের শিকার প্রাক্তন ভারতীয়রা।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি গায়ে বিশ্ব মঞ্চে ভারতীয়রাও ভালো ফিল্ডার হতে পারে এমনটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মহম্মদ কাইফ। কিন্তু এহেন ক্রিকেটারকেও ধর্মান্ধরা ট্রোল করার কোনও অবকাশ রাখে না।
ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলের শিকার মহম্মদ কাইফ। ক্রিসমাসের শুভেচ্ছায় সপরিবার ছবি দিয়েছিলেন ভারতের এই ক্রিকেটার। পোস্টের নিচে লিখেছিলেন, 'মেরি ক্রিসমাস, এখানে যেন শান্তি ও ভালোবাসা থাকে। ' ইসলামীয় ভাবাবেগে আঘাত এই অভিযোগে তাঁর ওপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ শানান তাঁর ফলোয়াররা। তাঁদের সাফ দাবি নিজের ধর্মকে ছোট করছেন কাইফ। এর আগেও দাবা খেলার জন্য ,সূর্য প্রণাম করার জন্য, তিন তালাকের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ট্রোলড হয়েছিলেন কাইফ।
কাইফের এই টুইটের পরই ঝাঁপিয়ে পড়েন ট্রোল করার জন্য নেটে থাকা মানুষরা। তাঁদের একটাই সাফ বক্তব্য ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া মানে নিজের ধর্মকে ছোট করা নয়।
শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই আক্রমণ ব্যক্তিগত স্তরেও পৌঁছে গেছে। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এ বছরে কাইফ জানিয়েছিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হতে চান। টুইটারে ভক্তদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের সময়েই এই কথা জানিয়েছিলেন কাইফ। তিনি জানিয়েছিলেন ভারতীয় দলের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত থাকতে পারলে খুশি হবেন।
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে দারুণ ফিল্ডার ছিলেন মহম্মদ কাইফ। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডস বিশ্বমঞ্চকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন রোডস। তেমনি সে সময় ভারতের হয়ে নজর কেড়েছিলেন মহম্মদ কাইফ। কভার ও পয়েন্টে তাঁর ফিল্ডিং নিয়ে অতিবড় বোদ্ধাও কুর্নিশ করতেন।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সময়ে ১২৫ টি একদিনের ম্যাচ ও ১৩ টি টেস্ট খেলেন কাইফ। এবছর শেষ হওয়া আইপিএলের দশম মরশুমে গুজরাত লায়ন্সের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন তিনি।