ডোয়ান ব্র্যাভোর রুদ্ধশ্বাস ব্যাটিং, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হারা ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই
চেন্নাই বোঝাল কেন তাঁদের সিংহ বিক্রম আজও প্রতিপক্ষ হিম করে দেয়। শনিবার যা ফের একবার হাড়ে হাড়ে টের পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জেতা ম্যাচ ওয়াংখেড়েতে রেখেই এদিন প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল রোহিত শর্মাদের।
চেন্নাই বোঝাল কেন তাঁদের সিংহ বিক্রম আজও প্রতিপক্ষ হিম করে দেয়। শনিবার যা ফের একবার হাড়ে হাড়ে টের পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জেতা ম্যাচ ওয়াংখেড়েতে রেখেই এদিন প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল রোহিত শর্মাদের। এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন যিনি তিনি হলেন ডোয়ান ব্র্যাভো। ৩০ বলে ৬৮ রানের এক দানবিয় ইনিংস খেলে ২ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা চেন্নাই-এর জন্য জয় এনে দিলেন ব্র্যাভো।
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/post.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FIPL%2Fposts%2F10155484241778634&width=500" width="500" height="645" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true"></iframe>
২ বছর পর আইপিএল-এ ফিরে এসে প্রথম ম্যাচেই যে চেন্নাই হারছে তা তখন এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। চেন্নাই-এর অধিনায়ক এম এস ধোনিও ড্রেসিংরুমে এদিক-সেদিক করে বেড়াচ্ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল তিনিও একপ্রকার ধরে নিয়েছেন যে এই ম্য়াচে চেন্নাই-এর হার নিশ্চিত। ম্যাচে তখন ১৭ ওভার হয়েছে। জিততে হলে চেন্নাই-এর দরকার ছিল ১৮ বলে ৪৭ রান। টি-২০-র ময়দানে অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু চেন্নাই ততক্ষণে ১১৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে আছে। উইকেটের একপ্রান্তে ব্র্যাভো, অন্যপ্রান্তে কেদার যাদব। ব্র্যাভোকে দেখে মনে হচ্ছিল না যে তিনি ম্যাচ জেতাতে পারবেন। কারণ, শেষ তিনওভারে মাত্র ১২ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন ব্র্য়াভো।
এমন পরিস্থিতিতে বল করতে আসেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাকলাঘান। এই ওভারে ২টো বিশাল ছক্কা হাকিয়ে ব্র্যাভো বোঝালেন যে তাঁর ঘুম ভেঙেছে। প্রায় একপেশে হয়ে যাওয়া ম্য়াচে আচমকাই যেন প্রাণের সঞ্চার করে দিলেন ব্র্যাভো। এমন পরিস্থিতিতে বল করতে আসেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্য়াকলাঘান। এই ওভারে ২টো বিশাল ছক্কা হাকিয়ে ব্র্যাভো বোঝালেন যে তাঁর ঘুম ভেঙেছে। প্রায় একপেশে হয়ে যাওয়া ম্য়াচে আচমকাই যেন প্রাণের সঞ্চার করে দিলেন ব্র্যাভো। এই ওভারে পঞ্চম বলে একটি বাউন্ডারিও মারেন ব্র্যাভো। ম্যাচ তখন রুদ্ধশ্বাস রঙ নিয়ে নিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি হতাশ। এভাবে ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তা যেন তিনি ভাবতেই পারছেন না।
ব্র্যাভো তখন ২৪ বলে ৪৮ রানে পৌঁছেছেন। ম্যাকলাঘানের শেষ বলে এক রান নেওয়ায় ১৯ ওভারের শুরুতেই স্ট্রাইক পান ব্র্যাভো। চেন্নাই-এর তখনও ১২ বলে ২৭ রান দরকার। বুমরাহের প্রথম দুই বলে ফের ২টি ছয় হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে ২ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন। চতুর্থ বলে রান না পেলেও পষ্ণম বলে ব্র্য়াভো ফের ছয় মারতেই ফেটে পড়ে ওয়াংখেড়ে। ততক্ষণে বোঝাই গিয়েছে ম্যাচ মুম্বই-এর হাতের বাইরে। কিন্তু,ওভারের শেষ বলে এবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তিনি আউট করে দেন ব্র্যাভোকে। ৩০ বলে ৩টা চার ও ৭টা ছয় মেরে ৬৮ রানের এত অতিমানবীয় ইনিংস খেলে ব্র্য়াভো তখন প্যাভিলিয়নের পথে। এই সময় চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৬ বলে ৭ রান। ২০ তম ওভারে কেদার যাদব ছয় মেরে মুম্বই-এর সমান সমান করে ফেলেন দলের স্কোর। এর পরের বলেই মুস্তাফিজুরকে ৪ মেরে চেন্নাই-কে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন যাদব। মুম্বই ক্রিকেট দল তখনও বিশ্বাস করতে পারছে না তাদের হারকে। আর অবিশ্বাস্য জয়ে ওয়াংখেড়ে মাঠে নেমে আসে গোটা চেন্নাই দল।
অতিমানবীর ব্যাটিং-এর জন্য ডোয়ান ব্র্যাভোকে ম্যান অফ দ্য ম্য়াচ-এর সম্মান দেওয়া হয়।
[ম্যাচের স্কোরবোর্ড এবং ৩৬০ ডিগ্রি বিশ্লেষণ পড়তে ক্লিক করুন এখানে]