দিলীপ বেঙ্গসরকারকে একহাত শ্রীনির, মৌচাকে ঢিল পড়ায় রেগে কাঁই প্রাক্তন বোর্ড প্রধান
এন শ্রীনিবাসন বেঙ্গসরকারের মন্তব্য নিয়ে ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিটির বিষয় নিয়ে। শ্রীনি কারণ দর্শালেন কেন নির্বাচন কমিটি থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিন দুয়েক আগে একটি বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান দিলীপ বেঙ্গসরকার। জানিয়েছিলেন বিরাট কোহলিকে জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ায় তাঁর চাকরি গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: 'স্পাইডারম্যানে'র কী ছুটি, জাতীয় দলে জায়গা পেলেন না বাংলার সুব্রত ]
তিনি নাকি শ্রীনিবাসনের পছন্দের প্লেয়ারকে না নেওয়ায় শাস্তি নেমে এসেছিল তার ওপর। আর এতেই যেন ভীমরুলের চাকে ঢিল পড়েছে। দীর্ঘদিন যিনি সংবাদমাধ্যমে নেই সেই শ্রীনি মুখ খুললেন বিতর্ক নিয়ে।
বহু বছর সেই গোপন তথ্যের বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রাক্তন নির্বাচক প্রধান বেঙ্গসরকার। জানিয়েছিলেন ২০০৮ সালে সমস্যাটা শুরু হয়েছিল বিরাটকে দলে নেওয়া নিয়েই। বাদ দেওয়া হয়েছিল বদ্রীনাথকে। যা মেনে নিতে পারেননি শ্রীনিবাসন থেকে শুরু করে তৎকালীন ভারতীয় অধিনায়ক ধোনি ও কোচ গ্যারি কার্স্টেন। ভারতীয় দলে বিরাটের জায়গা, তৎকালীন অধিনায়ক ধোনিও খুব একটা ভালোভাবে নেননি।
এদিকে বেঙ্গসরকারকে এই কারণে সরে যেতে হয়েছিল মানতে নারাজ বেঙ্গসরকার। তিনি জানিয়েছেন এই অভিযোগে তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছেন। তিনি যা বলেছেন, 'এই অভিযোগ আমি পুরোপুরি অস্বীকার করছি। একেবারে মিথ্যে, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ সব বলা হচ্ছে।'
[আরও পড়ুন: নেইমারের ডিগবাজি কোন দিকে হবে বুঝতে অস্থির ফুটবল মহল, বার্সা কোচ স্বপ্ন দেখছেন না ]
শ্রীনি জানিয়েছেন ওই সময় মুম্বই ক্রিকেটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বেঙ্গসরকার একইসঙ্গে ছিলেন সিনিয়র ক্রিকেট দলের নির্বাচক। সেসময় , ২০০৮-এর অগস্টে বোর্ডের কার্যকরি কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়, নির্বাচক কমিটির সদস্য বোর্ডের কোনও অনুমোদিত সংস্থার প্রশাসকের পদে থাকতে পারবেন না। এরই জেরে নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে।
তিনি যে অভিযোগ তুলেছিলেন শ্রীনি- ধোনি জুটির মনোমত কাজ না করতে পারায় তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল তা পুরোপুরি ভিত্তিহীণ। এরই সুবাদে তিনি আরও জানান সেই সময় বোর্ডে পদে ছিলেন শরদ পওয়ার তখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং সচিব ছিলেন নিরঞ্জন শাহ।