দুই রাণীর লড়াইয়ে ফের বাজিমাত সাইনার! স্ম্যাশের ঝড়ে করলেন চারে চার
জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে পিভি সিন্ধুকে হারিয়ে একটানা দুইবার খেতাব জিতলেন সাইনা নেহওয়াল।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গৌহাটিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৫টি ফাইনাল থাকলেও মূল ফোকাসটা ছিল মহিলাদের সিঙ্গলস সেমিফাইনালে ভারতের ব্যাডমিন্টনের দুই রাণী সাইনা ও সিন্ধুর মোকাবিলার উপরই। আর সেই চ্যালেঞ্জ জিতে আরও একবার ভারত-সেরা হলেন সাইনা নেহওয়াল। পুরুষদের ফাইনালে লক্ষ্য সেনকে পরাজিত করে জিতলেন সৌরভ ভার্মা।
এদিন ফাইনালে ২১-১৮ ও ২১-১৫ ফলে স্ট্রেট গেমে পিভি সিন্ধুকে পরাজিত করেন আরেক অলিম্পক পদকজয়ী হায়দরাবাদী সাইনা। প্রথম গেমে শুরুতে সিন্ধু এগিয়ে গেলেও খানিকক্ষণের মধ্যেই ম্যাচে ফিরে আসেন সাইনা। একবার এগিয়ে যাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দ্বিতীয় গেমেও ছবিটা প্রায় একরকমই ছিল। তবে আরেকটু বেশি লড়াই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সিন্ধু। কিন্তু শেষ দিকে চাপের মুখে খেই হারান।
এদিন দুর্দান্ত সব স্ম্যাশ বেড়িয়েছে সাইনার হাত থেকে। কোর্টের সর্বত্র আছড়ে পড়েছে সেই সব স্ম্যাশ। সিন্ধুর সব জবাবই ছিল কোর্টের মাঝামাঝি এলাকায়। ফলে সাইনার আক্রমণাত্মক হতে অসুবিধে হয়নি। এরফলে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে চারবার অংশ নিয়ে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি।
জয়ের পর সাইনা জানিয়েছেন, আক্রমণাত্মক খেলার মানসিকতা নিয়েই তিনি কোর্টে প্রবেশ করেছিলেন। সিন্ধু দারুণ লড়াই করেছেন, কিন্তু এদিন তিনিই বেশি ভাল খেলেছেন। অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে এই জয় তাঁকে মানসিক দিক থেকে এগিয়ে রাখবে বলেও জানান ভারতের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন।
অন্য দিকে, পুরুষদের ফাইনালে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের নয়া টিনএজ সেনসেশন লক্ষ্য সেনকে ২১-১৮, ২১-১৩ ফলে পরাজিত করে ২০১১ ও ২০১৬ সালের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেন। শুরুর দিকে সৌরভের খেলার গতির সঙ্গে লক্ষ্য ভালই তাল মেলাচ্ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর অভিজ্ঞতার অভাব ধরা পড়ে।
ডাবলস ফাইনালের প্রত্যেকটিতেই খাতায় কলমে এগিয়ে থাকা জুটিরাই পরাজিত হয়েছেন। পুরুষদের ডাবলসে শ্লোক রামচন্দ্রন ও এমআর অর্জুন জুটিকে ২১-১৩ ও ২২-২০ ফলে পরাজিত করে প্রণব জেরি চোপরা ও চিরাগ শেঠি, জুটিতে প্রথম খেতাব জিতলেন।
মহিলাদের সিঙ্গলসেও শিখা গৌতম ও অশ্বিনী ভাট-এর টিন এজ জুটি ২১-১৬, ২২-২০ ফলে হারালেন মেঘমনা জাক্কামপুড়ি ও পূর্ভিষা এস রামকে।
মিক্সড ডাবলস-এ রোহন কাপুর ও কুহু গর্গকে ১৮-২১, ২১-১৭ ও ২১-১৬ ফলে পরাস্ত করলেন মানু আত্রি ও কে মণীশা।