আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫ : প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড
ইডেন পার্ক, ২৪ মার্চ : রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। ছক্কা হাঁকিয়ে কিউয়িদের ফাইনালে তুললেন গ্র্যান্ট ইলিয়ট। একইসঙ্গে এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতল কিউয়িরা।
এর আগে ৬ বার কিউয়িরা বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু প্রতিবারই চোকার্স তকমা নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে তাঁদের। তবে সাতবারের মাথায় নিজেদের ঘরের মাঠে ভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়ল ব্রেন্ডন ম্যাকালামদের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে চলে গেলেন রস টেলর, কোরি অ্যান্ডারসনরা।
এদিন নিউজিল্যান্ডের হয়ে ম্যাকালাম ৫৯, কোরি অ্যান্ডারসন ৫৮ ও গ্র্যান্ট ইলিয়ট ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া রস টেলর ৩০ ও মার্টিন গাপটিল ৩৪ রান করেন।
প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডেভেলিয়ার্স। ম্যাচের মাঝে বৃষ্টি নামলে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ওভার কমে দাঁড়ায় ৪৩-এ। এরপর নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ২৮১ করে প্রোটিয়ারা। ফাফ ডুপ্লেসি, ডেভেলিয়ার্স, ডেভিড মিলারের ব্যাটে ভর করে প্রোটিয়ারা এই রান সংগ্রহ করে। পরে যা বেড়ে কিউয়িদের র্টাগেট দাঁড়ায় ২৯৮ রান।
জবাবে খেলতে নেমে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। তিনি এবং মার্টিন গাপটিল প্রথম ৫ ওভারে তুলে নেন ৭১ রান। এরপর ম্যাকালাম ২৬ বলে ৫৯ রান করে আউট হলেও একবারের জন্যও খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি নিউজিল্যান্ড। একেরপর এক পার্টনারশিপ করে ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ম্যাচের ৩৮তম ওভারে বৃষ্টি শুরু হলে ম্যাচটি কমিয়ে ৪৩ ওভার করা হয়। প্রোটিয়া অধিনায়ক ডেভেলিয়ার্স করেন অপরাজিত ৬৫ রান। ৪৫ বলের ইনিংসে ভিলিয়ার্স ৮টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান। আর শেষ দিকে ব্যাটিং ক্রিজে আসা ডেভিড মিলার মাত্র ১৮ বলে ৪৯ রান করে আউট হন।