রায়ডু বিতর্কের অবসান ঘটালেন প্রসাদ, কী বললেন ভারতের প্রধান নির্বাচক
ভারতের বিশ্বকাপ দল থেকে আম্বাতি রায়ডুর বাদ যাওয়ার পিছনে বিসিসিআই-র কোনও পক্ষপাত কিংবা ওই ক্রিকেটারের প্রতি কোনও দ্বেষ নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ।
ভারতের বিশ্বকাপ দল থেকে আম্বাতি রায়ডুর বাদ যাওয়ার পিছনে বিসিসিআই-র কোনও পক্ষপাত কিংবা ওই ক্রিকেটারের প্রতি কোনও দ্বেষ নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। প্রয়োজনেই রায়ডুকে ভারতের বিশ্বকাপ দলের বাইরে রাখা হয়েছিল বলে সাফাই দিয়েছেন প্রসাদ।
বাদ রায়ডু
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ান ডে সাইডে ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখানো হায়দরাবাদের আম্বাতি রায়ডুকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাঁর বদলে দলে তরুণ অল-রাউন্ডার বিজয়শঙ্করকে নেওয়া হয়।
বিতর্ক
কেন বাদ আম্বাতি রায়ডু প্রশ্ন করা হলে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ জবাব দেন, একজন অল-রাউন্ডার (বিজয় শঙ্কর) ক্রিকেট মাঠে থ্রি ডাইমেনশন ভূমিকা পালন করেন। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে টুইটারে প্রসাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ক্ষুব্ধ রায়ডু। দেশের নির্বাচক প্রধানকে ব্যঙ্গ করে লেখেন যে তিনি থ্রিডি (থ্রি ডাইমেনশন) গ্লাস চোখে পরে বিশ্বকাপ দেখবেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের এই মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া।
২টি পরিবর্তন, তবু উপেক্ষিত রায়ডু
বিশ্বকাপ চলাকালীনই চোট পেয়ে দল থেকে ছিটকে যান ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও অল রাউন্ডার বিজয় শঙ্কর। তা সত্ত্বেও আম্বাতি রায়ডুকে ইংল্যান্ডে ডেকে পাঠানো হয়নি।
অবসর
কার্যত সেই অবহেলার অভিমান কিংবা যন্ত্রণাতেই ক্রিকেট থেকে অবসর নেন আম্বাতি রায়ডু। কেন অবসর নিচ্ছেন তা তিনি লিখেও জানান।
রায়ডু সম্পর্কে প্রসাদ
রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচনের সময় এমএসকে প্রসাদ বলেন, আম্বাতি রায়ডুর সঙ্গে বিসিসিআই-র কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। বরং এই দক্ষিণী ব্যাটসম্যানকে বোর্ড সব সময় সাহায্য করে এসেছে বলেও দাবি ভারতের প্রধান নির্বাচকের। প্রসাদ বলেছেন, আইপিএলের ২০১৭-১৮ মরশুমে ভালো পারফরম্যান্স করায় শত সমালোচনা সত্ত্বেও রায়ডুকে ভারতের ওয়ান দলে জায়গা দিয়েছিল বোর্ড। ইয়ো ইয়ো ফিটনেস টেস্টে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও হায়দরাবাদের ক্রিকেটারকে গত বছর ভারতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে পাঠানো হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন এমএসকে প্রসাদ।
তবে কেন বাদ রায়ডু
বিশ্বকাপের জন্য উপযুক্ত কম্বিনেশন পেতেই আম্বাতি রায়ডুকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচক। পরে আবার দলের প্রয়োজনেই চোটগ্রস্ত শিখর ধাওয়ান ও বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে ঋষভ পন্থ ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে ভারতীয় দলে ডাকা হয়েছিল বলে সাফাই দিয়েছেন এমএসকে প্রসাদ।
টুইট প্রসঙ্গে
ভারতের বিশ্বকাপ দল থেকে ছিটকে গিয়ে তাঁর উদ্দেশে আম্বাতি রায়ডুর করা শ্লেষাত্মক টুইটকে দারুণ ও সময়োপযোগী বার্তা বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন এমএসকে প্রসাদ।