পরিবারের সমর্থনও কী হারালেন স্মিথ, প্রশ্ন ঘুরছে চারপাশে
স্টিভ স্মিথের পরিবার তাঁর সঙ্গে আছে কিনা গুঞ্জন চারদিকে
স্টিভ স্মিথ কী তাঁর বল বিকৃতি কাণ্ডের লড়াইয়ে একাই লড়ছেন। পারিপার্শ্বিক তো সেরকমই ইঙ্গিত দিচছে। কখনও অভিযোগের তিরের নিশানায় তাঁর বাবা যেমন রয়েছেন, তেমনিই ছাড় পাচ্ছেন না স্মিথের ফিয়ন্সেও বা বাগদত্তা।
আসলে যখন কেপটাউনে বল বিকৃতি বিতর্ক আছড়ে পড়ে তখন স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ছিলেন না তাঁর বাগদত্তা ড্যানি উইলিস। আসলে সে সময় নিজেদের বিয়ের প্রস্তুতি সারতে নিউ ইয়র্কে ছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক স্টিভ ও ড্যানির। বিয়ের প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। আসলে বল বিকৃতি কাণ্ডের দিন তিনেক আগেই তিনি নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। তবে এতেও চিঁড়ে ভিজছে না। অস্ট্রেলিয়া শিবিরের অন্য এক ক্রিকেটারের বান্ধবী জানিয়েছেন, এই সময়ে যদি ড্যানি তাঁর কাছে থাকতেন তাহলে স্টিভ স্মিথ মানসিক লড়াইয়ে একজনকে সঙ্গী হিসেবে পেতেন।
তিনি আরও বলেন যে এঁদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই মাখোমাখো যে যখন ড্যানি অস্ট্রেলিয়া টিমের সঙ্গে যেতেন তখন তাঁরা টিম হোটেলেও থাকতেন না। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও তাঁরা আলাদা হোটেলে ছিলেন। কেপটাউনের সবচেয়ে বিলাসবহুল হোটেল 'ওয়ান এন্ড ওনলি' -তে ছিলেন তাঁরা। যেখানের ভাড়া ২০০০ ডলার।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সঙ্গে ঘোরা সেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্রিকেটার বান্ধবী আরও জানিয়েছেন, স্টিভ স্মিথ নিজের ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করেন। ওঁরা বেশিরভাগ সময়েই নিজেদের ঘরেই একান্তে খাওয়াদাওয়া সারতেন। পাশাপাশি স্মিথ অত্যন্ত গুরু গম্ভীর একজন মানুষ তাও জানিয়েছেন তিনি।
২০১১ সালে স্মিথ ও উইলিসের একটি পানশালায় দেখা হয়েছিল। ২০১৭ সালে ম্যানহাটানে ড্যানিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন স্মিথ।
এদিকে শুধু বান্ধবীই নয়, স্টিভের বাবাকেও নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। দেশে ফেরার পরসাংবাদিক-বৈঠকে পাশে দাঁড়িয়ে ছেলেকে বারবার সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন পিটার। শনিবার বাড়ি ফেরেন। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়েও বারবার কান্না ভেঙে পড়েন স্টিভ। পরেই ছেলের ক্রিকেট কিট তিনি গ্যারেজে রেখে দিয়েছেন। এরপরেই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সেই সংবাদ সংস্থা। তাতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির ভিতর থেকে দুটি বড় ব্যাগ বের করলেন পিটার, এবং সেগুলিকে গ্যারাজের কোণায় রেখে দিলেন। এই কাজ করার সময় নাকি বিড়বিড় করে বলছিলেন, 'ওকে একটু সময় দিন আপনারা। ও ঠিক হয়ে যাবে, ও ঠিক হয়ে যাবে।'
কিন্তু যেভাবে ক্রিকেট কিটগুলি তিনি ঢুকিয়ে রাখছিলেন তাতে কিন্তু প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে আদৌ কি স্মিথের বাবা বিশ্বাস করেন এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে তিনি ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন।