রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টারে বাংলার ৩৩২-র জবাবে প্রথম ইনিংসে ওড়িশা ১৫১/৪
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টারে বাংলার ৩৩২-র জবাবে ওড়িশা ১৫১/৪
অনুষ্টুপ মজুমদারের ব্যাটিং সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ৩৩২ তুলল বাংলা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওড়িশার প্রথম ইনিংসের শুরুটা ভালো হলেও, দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় কামাল দেখালেন বাংলার বোলাররা। মাত্র ৪৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরলেন মনোজ তিওয়ারিরা।
ফিদেলের জন্ম
১৯২৬ সালের ১৩ অগাস্ট কিউবার পূর্বাঞ্চলে বিরান জেলায় স্পেনীয় বংশোদ্ভূত এক উদ্বাস্তু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাস্ত্রো। তাঁর পিতা আখের চাষ করতেন। হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়ার সময় ফিদেল কাস্ত্রোর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।
টসে হার
কটকের ড্রিমস গ্রাউন্ডে টসে জিতে বাংলাকে ব্যাট করার জন্য আমন্ত্রণ জানায় ওড়িশা। মাত্র ৯ ও ৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান বাংলার ওপেনার কৌশিক ঘোষ ও অভিমন্যু ইশ্বরণ। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অভিষেক রমন ১ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৪ রান করে আউট হন অর্নব নন্দী। মনোজ তিওয়ারির ব্যাট থেকে আসে মাত্র চার রান। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা।
মার্কিন পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই
পঞ্চাশের দশকে মার্কিন পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে কিউবায় সমাজতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কাস্ত্রোর অবদান অপরিসীম বলে মনে করা হয়। অনেকে সেজন্য তাঁকে সমাজতন্ত্রের প্রবাদপুরুষ বলেও আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্টুপের লড়াই
মনোজ তিওয়ারি আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন বাংলার উইকেটরক্ষক শ্রীবৎস গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে অনুষ্টুপ মজুমদারের মধ্যে ৯৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। দলের ১৪১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৪-র স্কোরে আউট হন শ্রীবৎস্য। এরপরেই ব্যাট করতে নামেন অল-রাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু
১৯৪৭ সালে নবগঠিত কিউবান পিপলস পার্টিতে যোগ দেন ফিদেল। মার্কিন ব্যবসায়ী শ্রেণি ও সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবিচার, নিম্ন মজুরি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে লড়াইয়ে নামেন ফিদেল। সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেন তিনি।
অনুষ্টুপ-শাহবাজ পার্টনারশিপ
টালমাটাল অবস্থা থেকে বাংলাকে টেনে তোলে অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আহমেদের পার্টনারশিপ। জুটিতে ১৭১ রান তোলেন দুই ক্রিকেটার। শুক্রবার সকালে ১৫৮ বলে ৮২ রান করে আউট হন শাহবাজ। ২৩৯ বলে ১৫৭ করেন অনুষ্টুপ। পুরোপুরি ব্যর্থ হয় বাংলার লোয়ার অর্ডার।
কিউবায় সামরিক অভ্যুত্থান
১৯৫২ সালে দলীয় কংগ্রেসের সদস্য প্রার্থী হন ফিদেল। নির্বাচনে পিপলস পার্টির বিজয়ের সম্ভাবনা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে জেনারেল বাতিস্তা সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কিউবার ক্ষমতা দখল করলে নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়।
ওড়িশার জবাব
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েও দুর্দান্তভাবে ম্যাচ ধরে নেন ওড়িশার ওপেনার শান্তনু মিশ্র ও তিনে নামা দেবাশিস সামান্ত্রা। তাঁদের মধ্যে ১২৫ রানের পার্টনারশিপ হয়। দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দেবাশিসের (৬৮) উইকেট নেন বাংলার পেসার নীলকান্ত দাস। শান্তনু মিশ্রকে (৬২) ফেরান স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। বাংলার পেসার ইশান পোড়েলের বলে আউট হন গোবিন্দ পোদ্দারও। দিনের শেষে ৪ উইকেচ হারিয়ে ১৫১ রান তোলে ওড়িশা।
ফিদেলের কারাবাস
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে বিপ্লবই একমাত্র পথ, এই ভাবনা থেকেই ১৯৫৩ সালে মনকাডা সেনা ব্যারাকে হামলা চালান ফিদেল ও তাঁর সহযোগীরা। সেই ঘটনায় ফিদেল পরাস্ত হন এবং তাঁর বহু সহযোদ্ধাকে হত্যার নির্দেশ দেন বাতিস্তা। তবে কোনওভাবে প্রাণে বেঁচে যান ফিদেল। এরপরও তাঁকে বিষ খাইয়ে মারা চেষ্টা হয়। সেই খবর ফাঁস করে দেওয়ায় ফাঁসি দেওয়া হয় পেলেচিয়ার নামে বাতিস্তা সরকারের এক ক্যাপ্টেনকে। পরে জনমতের কথা ভেবে বিচারের ব্যবস্থা করে বাতিস্তা সরকার।
সাজা শেষের আগেই মুক্তি
আদালতে দাঁড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা জানিয়ে দীর্ঘ ভাষণ দেন তিনি। ফলে ১৫ বছরের সাজা ঘোষণা হলেও প্রবল জনমতের চাপে মাত্র ২ বছরের জেল খেটে ছাড়া পান ফিদেল। তারপরই বিপ্লবী দল গড়তে মেক্সিকোয় পাড়ি দেন তিনি।
মেক্সিকোয় পাড়ি
সেদেশে পৌঁছে একটি গেরিলা বাহিনী তৈরি করেন তিনি। সশস্ত্র দল ও পর্যাপ্ত অস্ত্রভান্ডার মজুত করে চে গেভারা, খুয়ান আলমেদার মতো বিপ্লবীদের সঙ্গে নিয়ে কিউবায় ফেরত আসেন কাস্ত্রো। তারপরই শুরু হয় তাদের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড।
বাতিস্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
বাতিস্ত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি। তবে এবারও বেশিরভাগ গেরিলা সৈন্য সরকারের আক্রমণের মুখে পড়ে প্রাণ হারায়। তবে এসবের মাঝেই ফিদেলের সমর্থনে একজোট হতে শুরু করে কিউবার যুবসমাজ। ফলে বাতিস্তা সরকারের রাগ গিয়ে পড়ে জনগনের উপরে। যার ফলে আরও বেশি করে সমর্থন বাড়তে থাকে ফিদেল কাস্ত্রোর।
জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্ট
যেদিন কাস্ত্রো মেক্সিকো থেকে কিউবায় এসে পদার্পণ করেন সেই দিনটি ছিল জুলাই মাসের ২৬ তারিখ। সেই অনুযায়ী তাঁর আন্দোলনের নাম হয় জুলাই টোয়েন্টি সিক্স মুভমেন্ট। ১৯৫৮ সালে কিউবার মধ্যবিত্তশ্রেণিও কাস্ত্রোর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে সরকারের বিরোধিতা করে।
কিউবায় নির্বাচন বাতিল
এরপরে গেরিলা বাহিনীর উপরকে জেনারেল বাতিস্তার আক্রমণ ও নিপীড়ন আরও বাড়তে থাকে। সেনা পাঠিয়ে গেরিলা দমনের চেষ্টা করলেও সরকার বিফল হয়। বেশি কিছু সেনা গেরিলা দলে যোগ দেয়। আর অনেক সেনার মৃত্যু হয়। এরপরে সারা কিউবা অশান্ত হয়ে উঠলে আমেরিকার নির্দেশে নির্বাচনের ডাক দেন বাতিস্তা। তবে সিংহভাগ জনগণ সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যাত করে।
কিউবার দখল নেন কাস্ত্রো
একইসঙ্গে ফিদেলের গেরিলা সৈন্য কিউবার রাজধানী হাভানা ঘিরে ধরতে শুরু করলে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি কিউবা ছেড়ে পালান জেনারেল বাতিস্তা। এরপরে সেনার অন্য জেনারেলরা সামরিখ অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালালে দেশজুড়ে ধর্মঘট করেন কাস্ত্রো। শত শত সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলে সামরিক বাহিনী পরাজয় স্বীকার করে নেয়। এবং এভাবেই সেইবছরের ৯ জানুয়ারি দেশের নিয়ন্ত্রণভাব গ্রহণ করেন ফিদেল কাস্ত্রো।
দেশের একছত্র রাষ্ট্রনায়ক
এরপরই কিউবার প্রথম সমাজতান্ত্রিক প্রধানমন্ত্রী হন ফিদেন কাস্ত্রো। ১৯৭৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলান তিনি। ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে ভাই রাউল কাস্ত্রোকে দায়িত্ব দেন। এখন রাউলই কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান। আর এভাবেই পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করে ইতিহাসে নাম লিখিয়েচেন মহান কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। এদিন তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটল।