ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ৯ বছর পূর্তি, ফিরে দেখা ঐতিহাসিক মুহূর্ত
ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের ৯ বছর পূর্তি, ফিরে দেখা ঐতিহাসিক মুহূর্ত
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে ভারত। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়েছে। বন্ধ ক্রিকেট, বন্ধ যোগাযোগ। লকডাউনে স্তব্ধ দেশের প্রতিটি শহর। বন্ধ আইপিএলও! জাতীয় সংকটের এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কের এই আবহে সাধারণ মানুষের হাসি উড়েছে। এর মাঝে আজ ২ এপ্রিল। মানে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের নবম পূর্তি।
স্মৃতির পাতায় ফিরে গেলে ২৮ বছর পর আজকের দিনেই মুম্বইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ছক্কা হাঁকিয়ে দেশকে বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
২ এপ্রিল দিনটি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। ফাইনালে সেদিন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইটা অবশ্য সোজা ছিল না। টস জিতে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাটিং নেয়। নির্ধারিত ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান তুলেছিল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে শতরান করে দলকে বড় টার্গেটে পৌঁছে দিয়েছিলেন মাহেলা জয়বর্ধনে। ফাইনালের মঞ্চে সেদিন তিনি ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। জয়বর্ধনের অপরাজিত এই ইনিংস ছাড়া কুমার সাঙ্গাকারা ৪৮ রান করেন।
ফাইনালের মতো মঞ্চে ২৭৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা অবশ্য একেবারে ভালো হয়নি। স্কোরবার্ডে ১ রানের মাথায় সেহওয়াগকে ০ রানে সাজঘরে ফেরান মালিঙ্গা।
পরে সচিনকে ১৮ রান প্যাভিলিয়নে রাস্তা দেখান ইয়র্কার কিং। ৩১ রানে ২ উইকেট হারানোয় সবাই যখন ফাইনাল হারের আশঙ্কায়। সচিন আউট হওয়ার পর তরুণ বিরাট ৩৫ রান করে আউট হয়েছিলেন। এরপর চতুর্থ উইকেটে ধোনি-গম্ভীরের ১০৯ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচ বার করে নেয়।
অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন গম্ভীর। ফাইনালে ৯৭ রানে আউট হয়েছিলেন। অন্যদিকে ৯১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করে এসেছিলেন ধোনি। ১০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল।