২০০০-র অস্থির সময়, সচিন সম্পর্কে এই কথা বলেছিল গ্রেফতার হওয়া বুকি
২০০০-র অস্থির সময়, সচিন সম্পর্কে এই কথা বলেছিল গ্রেফতার হওয়া বুকি
২০০০-র ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কথা শুনলে এখনও চোখ কচলায় ক্রিকেট বিশ্ব। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের নাম। জড়িয়ে পড়েছিলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন, অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকর, হ্যান্সি ক্রোনিয়ের মতো দিকপাল ক্রিকেটাররা। সেই অস্থির সময়েও যাঁদের অবলম্বন করে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট, তাঁদের অন্যতম সচিন তেন্ডুলকর। সেই সময় মাস্টার ব্লাস্টারকে নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিল ওই কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া বুকি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর
২০০০ সালে ভারত সফরে এসেছিল হ্যান্সি ক্রোনিয়ে নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা। মহম্মদ আজহারউদ্দিন নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ান ডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল প্রোটিয়া শিবিরের।
ঘটনার সূত্রপাত
২০০০ সালের ৭ এপ্রিল দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছিল বুকি সঞ্জীব চাওলা ও দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ের মধ্যে হওয়া কথোপকথনের রেকর্ড। ঘটনায় প্রাক্তন প্রোটিয়া ক্রিকেটার হার্শেল গিবস, নিকি বোয়ের নামও জড়িয়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সামনে প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন হ্যান্সি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয়েছিল। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন।
ভারতীয়দের নাম
হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বয়ানে ওই ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সেই সময়ের অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। এই মামলায় অজয় জাদেজা, মনোজ প্রভাকরের মতো প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও নাম উঠেছিল। প্রত্যেককে ক্রিকেট থেকে আজীবন নির্বাসন করা হয়েছিল।
ঘুরে দাঁড়ায় ভারত
এলোমেলো হয়ে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন করে সাজিয়ে তোলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ কাজে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলের মতো ক্রিকেটাররা। পেরেছিলেন, কারণ এই সব ক্রিকেটারদের ধার পর্যন্ত মারাতে পারতো না বুকিরা। এ কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরাই। বাকিটা ইতিহাস।
|
সচিন সম্পর্কে বুকির মত
পুরনো তথ্য ঘেঁটে জানা যায়, ২০০০-র ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এক বুকিকে সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। মাস্টার ব্লাস্টারের স্বচ্ছতা বোঝাতে ওই বুকি নাকি জবাব দিয়েছিল, সচিন যতক্ষণ আউট না হবে, ততক্ষণ তারা ম্যাচ ফিক্স করতে পারতো না।
'৪৭তম জন্মদিন', কার আশীর্বাদ নিয়ে সকাল শুরু করেন সচিন তেন্ডুলকর?