আইপিএল আয়োজন করার ক্ষেত্রে বিসিসিআই-এর সামনে খোলা রয়েছে কোন কোন পথ
আইপিএল আয়োজন করার ক্ষেত্রে বিসিসিআই-এর সামনে খোলা রয়েছে কোন কোন পথ
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ প্রভাবে দেশের অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্টের মতো আইপিএল-ও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। যা পরিস্থিতি, তাতে আদৌ এই টুর্নামেন্ট হবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবু দেখে নেওয়া যাক এই অবস্থায় আইপিএল আয়োজন করার ক্ষেত্রে বিসিসিআই-এর সামনে খোলা রয়েছে কোন কোন পথ।
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ
এপ্রিলেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব না কমলে ফাঁকা স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করা হতে পারে। মারণ ভাইরাসের প্রভাব না কমায় ভিসা নীতি শিথিল করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে বিদেশি ক্রিকেটারদের ছাড়াই হতে পারে আইপিএল। সমস্যায় পড়তে পারে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি।
করোনা নিয়ে সতর্ক বিসিসিআই
১) আইপিএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটার সাপোর্ট স্টাফ ও গ্রাউন্ডসম্যানদের জীবন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিসিআই। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বোর্ড।
২) করোনা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না ফ্রাঞ্চাইজিগুলিও। মে-র শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত দেখে তারা আইপিএল নিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিসিআই-কে জানাবে বলে খবর।
৩) সমস্যার বিষয় একটাই যে আগামী জুন থেকে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডার। তার আগে আর টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় কবে করা যায় আইপিএল, তা নিয়ে হিসেব কষা শুরু করেছে বিসিসিআই।
ম্যাচের সংখ্যা কম
১) রাউন্ড রবিন লিগ ফর্ম্যাটে আইপিএলে প্রতি দল একে অপরের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ (হোম ও অ্যাওয়ে) খেলে। টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় এবং হাতে সময় কম থাকায় দুই দলের মধ্যে একটি করে ম্যাচ হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৪টি প্লে-অফ সহ ৩২টি ম্যাচ হতে পারে।
২) আটটি দলকে দুটি ভাগে ভাগ করে, প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দলকে প্লে-অফে তুলে আনা হতে পারে বলেও আলোচনা চলছে বিসিসিআই-র অন্দরে।
উইন্ডোর পরিধি বৃদ্ধি
পুরনো সূচি অনুযায়ী ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল আইপিএল। ২৪ মে শেষ হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের জন্য প্রতিযোগিতা পিছিয়ে যাওয়ায় টুর্নামেন্টের উইন্ডো আরও বাড়াতে চলেছে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে বিদেশি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে সে সে দেশের ক্রিকেটারদের অগাস্ট পর্যন্ত পর্যন্ত ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হতে পারে।
ডবল হেডার
হাতে দিন কম এবং ম্যাচ বেশি থাকায় পরিস্থিতি সঙ্কুলানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিসিসিআই-কে। সেক্ষেত্র একই দিনে দুটি কিংবা তিনটি ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
মাঠের সংখ্যা কমানো
করোনার প্রভাব থেকে বাঁচতে এবং অর্থ বাঁচাতে আইপিএলে মাঠের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে বিসিসিআই। আটের পরিবর্তে চার কিংবা পাঁচটি মাঠে হতে পারে টুর্নামেন্টের সবকটি ম্যাচ। বাদ দেওয়া হতে পারে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো করোনায় বিপর্যস্ত শহরগুলিকে। সেক্ষেত্রে হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে বলেও বিসিসিআই সূত্রে খবর।
বিসিসিআই ছাড়পত্র দিলেও মাঠে নেমে অনুশীলন করতে পারবেন না বিরাট-রোহিত!