চেষ্টাই করল না পাকিস্তান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে থামল ৩১৫ রানে
চেষ্টাই করল না পাকিস্তান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে থামল ৩১৫ রানে
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছতে নূন্যতম ৩১২ রানে জিততেই হতো পাকিস্তানকে। শুক্রবার বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচ খেলতে নামার আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাট পেলে ৫০০ রান হাঁকানোর দাবিও করেছিলেন পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
কিন্তু বাস্তবে হল তার উল্টোটাই। ঐতিহাসিক লর্ডসে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েও নিজেদের খোলস ছেড়ে বেরোতেই পারল না পাকিস্তান। আগ্রাসন তো দূর, পাক ব্যাটসম্যানদের খেলা দেখে মনে হল, তাঁরা যেন ধরেই নিয়েছেন যে এমন পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। ইমাম উল হকের ১০০ বলে ১০০ এবং বাবর আজমের ৯৮ বলে ৯৬ রানের সেমি-আগ্রাসী ইনিংস ছাড়া এই ম্যাচ থেকে পাক সমর্থকদের এখনও পর্যন্ত পাওয়ার কিছু নেই বলা চলে।
পারুক বা না পারুক, পাকিস্তান মাঠে নিজেদের তাগিদটা অন্তত দেখাবে। এমন একটা ভাবনা নিয়েই শুক্রবার লর্ডসে চোখ রেখেছিল তামাম ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু ওপেনার ফকর জামান ও ইমাম উল হকের মধ্যে দ্রুত রান বানানোর কোনও হিড়িক না দেখে পাক দলের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। ৫০০ রানে করার লক্ষ্য হাতে নিয়ে নেমে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাত্র ২৩ রানে ফকর জামানকে (১৩) হারায় পাকিস্তান। এরপর বাবর আজম ও ইমাম উল হকের মধ্যে ১৫৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র চার রান আগে লেগ বিফোর উইকেট হন বাবর।
সেকেন্ড ডাউন মহম্মদ হাফিজ পাক ওপেনার সেঞ্চুরিয়ান ইমামকে কিছুটা সঙ্গ দেন। ২৫ বলে ২৭ রান করে তিনিও সাজঘরে ফিরে যান। তাঁর পিছু পিছু মাত্র ৬ রান করে ক্রিজ থেকে বিদায় নেন হারিস সোহেল। ব্যাট করতে গিয়ে চোট পাওয়া পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (২) রিটায়ার হার্ট নেন। ইনিংসের শেষ বলে নেমে তিনি আর ১ রান করেন। শেষ বেলায় ইমাম ওয়াসিমের ২৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস পাকিস্তানের স্কোর টেনেটুনে ৩১৫ রানে পৌঁছে দেয়। ৯ উইকেটও হারায় তারা। অর্থাৎ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছতে বাংলাদেশকে ৩ রানে অল আউট করতেই মহম্মদ আমিরদের। যা কার্যত অসম্ভব।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩ উইকেট নেন মহম্মদ শাইফুদ্দিন।