পিকেএল ২০১৮, ঘরের মাঠে জিতেই সোনিপত পর্ব শেষ করল হরিয়ানা স্টিলার্স
পিকেএল ২০১৮-এ সোনিপতে হরিয়ানা স্টিলার্স বনাম দাবাং দিল্লি কেসির ম্যাচে হরিয়ানা ৩৪-৩১ পয়েন্টে জিতেছে।
পিকেএল-২০১৮তে দারুণভাবেই সোনিপতে তাদের হোমলেগ পর্ব শেষ করল হরিয়ানা স্টিলার্স। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দাবাং দিল্লির কড়া রক্ষণকে ভেঙে মোতিলাল নেহরু স্কুল অব স্পোর্টস-এ তারা ৩৪-৩১ পয়েন্টে জয় ছিনিয়ে নিল। শুরুর থেকেই সমানা সমানে লড়াই চললেও দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে হরিয়ানার রেইডার বিকাশ খান্ডোলা দুটি সুপার রেইডে দুই দলের ব্যবধান গড়ে দেন।
কান্ডোলা প্রায় সুপার ১০ ই পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ অবধি ৯ পয়েন্টে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। লেফট কভার প্রবীন ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। অপরদিকে দিল্লির হয়ে চন্দ্রন রঞ্জিত ও পবন কুমার কাদিয়ান যৌথভাবে ১৫ রেইড পয়েন্ট তোলেন। রবিন্দর পাহাল পান ৫ পয়েন্ট ও অধিনায়ক যোগিন্দর নারওয়াল ৪টি ট্য়াকল পয়েন্ট দখল করেন।
ম্য়াচের শুরুতে মনু গোয়াতে নেতৃত্বে প্রাধান্য পেয়েছিল হরিয়ানাই। আট মিনিটের মাথাতেই খান্ডোলা দিল্লীর মিরাজ শেখকে আউট করে দেন। সেই সময় হরিয়ানার পক্ষে ফল ছিল ৯-৫। তবে কাদিয়ান, রঞ্জিত ও নবিন কুমার দিল্লির হয়ে লড়াই জারি রাখেন।
তাঁরা একটা সময় ব্যবধানটা কমিয়ে আনলেও, ১৪তম মিনিটে দিল্লি দুইজনে নেমে আসলে ফের পয়েন্টের ব্যবধানটা ৪ হয়ে যায়। এই সময়ই পাহাল অধিনায়ক যোদিন্দর নারওয়ালের সহায়তায় একটি সুপার ট্যাকল করেন। মনু গোয়াতকে আউট করেন তাঁরা, ফলে দুই দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৩।
বিরতির আর মিনিট দুয়েক বাকি ছিল। এই সময়ে পাহাল আরও একটি সুপার ট্যাকল করেন। ফলে খান্ডোলাকেও বাইরে যেতে হয়। ফলে প্রথমবারের জন্য ম্যাচে এগিয়ে যায় দাবাং দিল্লি কেসি। প্রথমার্ধের শেষে দিল্লি ১৪-১৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল।
প্রথমার্ধে দিল্লি ঠিক যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই শুরু করে তারা। অধিনায়ক যোগিন্দর নারওয়ালের সুপার ট্যাকলে ১৫-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায়। এরপর গোয়াতকেও হারালে হরিয়ানা ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছিল।
এরপর রঞ্জিত রেইডে গেলে তাঁকে সুপার ট্যাকল করেন প্রবীন। এরপর হরিয়ানার হয়ে সুপার রেইডে দলকে এগিয়ে দেন খান্ডোলা। একই সঙ্গে তিনি পাহাল, নারওয়াল ও নবীন কুমারকে আউট করেন। হরিয়ানা এগোয় ২৩-২০ পয়েন্টে।
খান্ডোলা তাঁর ছন্দ ধরে রেখে এরপর আরও একটি সুপার রেইড করেন। কাদিয়ান ও নারওয়ালকে আউট করে বোনাস পয়েন্টও ঘরে তোলেন তিনি। ফলে হরিয়ানা বিশাল ৬ পয়েন্টের লিড পেয়ে যায়। এরপর আর অল্পই সময় বাকি ছিল। দিল্লি তাদের লড়াই জারি রাখলেও হরিয়ানার শঙ্গে ব্যবধানটা সম্পূর্ণ মিটিয়ে উঠতে পারেনি।