হার্দিক-রাহুল কাণ্ডে অতি-প্রতিক্রিয়া - এমনটাই মত 'পথপ্রদর্শক' দ্রাবিড়ের, তুললেন অতীতের কথাও
সাম্প্রতিক কিছু বিতর্ক যা ভারতীয় ক্রিকেটে ঝড় তুলেছে তা নিয়ে নিয়ে অতি-প্রতিক্রিয়া দেখানোয় অনুচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়।
বিসিসিআই এখন থেকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাাডেমিতে ক্রিকেটারদের জন্য আচরণগত পরামর্শদান কর্মসূচী গ্রহণ করতে চাইছে। আর তার জন্য পথপ্রদর্শক হিসাবে চাইছে রাহুল দ্রাবিড়কে। সেই রাহুল দ্রাবিড়ই জানালেন হার্দিক-রাহুল কাণ্ডে অতি-প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এমনটা না হলেই ভাল হত।
'দ্য হিন্দু'-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন অতীতেও অনেকেই ভুল করেছেন। তরুণদের শিক্ষিত করার যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, তিনি মনে করেন ভবিষ্যতেও কেউ কেউ ভুল করবে। কিন্তু তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার মানে হয় না।
শুধু কফি উইদ করণ টকশোতে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কেএল রাহুলের আপত্তিকর মন্তব্য করাই নয়, সম্প্রতি মুম্বইতে ড্রেসিংরুমে এক অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটারও আরত্তিকর কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তাঁকে ৩ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। সাম্প্রতিক এই সব বিতর্কে আপাতত জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট।
এই কারণেই এনসিএ-তে অনুর্ধ্ব-২৩ সব ক্রিকেটারের জন্য একটি বিহেভিরাল কাউন্সেলিং বা আচরণগত পরামর্শদান কর্মসূচী গ্রহণ করতে চাইছে বিসিসিআই-এর প্রশাসনিক কমিটি। এমনটাই জানিয়েছেন সিওএ প্রধান বিনোদ রাই। এই কর্মসূচীতে সুবিধা মতো সিনিয়র দলের ক্রিকেটারদেরও সামিল করা হবে।
এর জন্য গাইড হিসেবে অনুর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে চাইছে বিসিসিআই। জানা গিয়েছে বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশনস ম্য়ানেজার সাবা করিম ইতিমধ্যেই এই বিষযে দ্রাবিড়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে অনিল কুম্বলেকেও চাইছে বিসিসিআই। সাবা করিম জানিয়েছেন, দ্রাবিড় অনুর্ধ্ব ১৯ দলে ইতিমধ্যেই এইরকম কিছু কর্মসূচীর সঙ্গে জড়িত। তাই তাঁর পক্ষে এই কাজ করাটা সুবিধাজনক হবে।
রাহুল দ্রাবিড় জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেটারদের জন্য তাঁরা লেকচারের বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু এভাবে চেষ্টা করা যেতে পারে মাত্র। এতে কাজ হবেই এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ একজনের আচার আচরণ বেশিরভাগটাই নির্ভর করে সে কী ভাবে বেড়ে উঠেছে, বিভিন্ন স্তরে তাদের ট্রেনিং - এই সব বিষয়ের উপর।
দ্রাবিড় আরও জানিয়েছএন, সবচেয়ে ভাল শেখা যায় ড্রেসিংরুমে সিনিরদের দেখে। এই প্রসঙ্গে অতীতের কথা তুলে ধরেন তিনি। জানান, তাঁদের সময়ে এইসব শিখতে কারোর লেকচারের প্রয়োজন হয়নি। বাবা-মা, সিনিয়রদের মতো রোল মডেলদের দেখেই তাঁরা শিখেছেন। তার পরেও কেউ কেউ ভুল করেছে। কাজেই অতীতে সব ঠিক ছিল, আর এখনই সব ভুল হচ্ছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।