ভারত-বাংলাদেশ টক্কর, এগিয়ে ভারত, তবে লড়াইয়ের শপথ বাংলাদেশেরও
গ্রুপ বি থেকে ভারত শীর্ষস্থান অধিকার করে সেমিফাইনালে উঠেছে। এবং গ্রুপ এ থেকে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছে নিউ জিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে মূল টুর্নামেন্টে খেলতে নামে বিরাট কোহলির ভারত। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩২৪ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
তারপর গ্রুপ বি থেকে ভারত শীর্ষস্থান অধিকার করে সেমিফাইনালে উঠেছে। এবং গ্রুপ এ থেকে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছে নিউ জিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে।
একদিকে রয়েছে পেশাদার ভারতীয় দল। যারা ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের থেকে শতযোজন এগিয়ে। অন্যদিকে রয়েছে মাশরাফি মোর্তাজার নেতৃত্বে এগারো জনের বাংলা ব্রিগেড। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগের ম্যাচে রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই হারের ধাক্কায় গ্রুপ লিগ থেকেই ছিটকে যায় ভারত। আর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল।
মাঝে ভারতীয় দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। কোহলির ভারত বিশ্বের সেরা দলের একটি। তবে বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি আইসিসি টুর্নামেন্টেই বড় দলকে হারিয়ে চমক দিয়েছে। সেমিফাইনালে সেরকম কিছু হবে না, এমনটা জোর গলায় বলা যায় না।
ভারত যেমন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারলেও পাকিস্তান ও পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিতে সেমিফাইনালে ফেভারিট হিসাবে উঠেছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভারত এখন সেরা ফর্মে রয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার হতভাগ্য, বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশের যেমন এই ম্যাচে হারানোর কিছু নেই। প্রতিবেশী ভারতের বিরুদ্ধে ফের একবার প্রাণপাত করে খেলবেন মাশরাফি মোর্তাজার ছেলেরা। অন্যদিকে বড় দলকে হারিয়ে ফাইনালে গেলে ভারত যতটা বাহবা পেত, এই ম্যাচ জিতলেও তা পাবে না।
তবে হারলে আর কোহলিদের রক্ষে থাকবে না। আর এখানেই মূল ভয়। বাংলাদেশের কাছে এর আগেও বড় মঞ্চে হারতে হয়েছে। ছোট দল দেখে খেলোয়াড়রা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়লে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া হারলে ফের একবার বিরাট কোহলি-অনিল কুম্বলে দ্বন্দ্ব বড় আকার নেবে।
বাংলাদেশি ব্যাটিং পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ততটা স্বচ্ছ্বন্দ নয়। ফলে ভারত জাদেজা ও অশ্বিন দুই স্পিনারে খেলবে নাকি উমেশ যাদবকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ভারতীয় দলের যা হাবভাব তাতে সম্ভবত আগের দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের একাদশই বাংলাদেশ ম্যাচেও খেলানো হবে।
এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপ, গতবছরের টি২০ বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। টি২০ বিশ্বকাপে জেতা ম্যাচ মাঠে ফেলে আসতে হয়েছে। এবারে ইংল্যান্ডে ভারতকে কতটা বেগ দিতে পারে বাংলাদেশ সেটাই এখন দেখার।
ভারতীয় দল
বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি (উইকেটকিপার), কেদার যাদব, হার্দিক পাণ্ড্য, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরাহ, উমেশ যাদব, অজিঙ্ক রাহানে, রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, দীনেশ কার্তিক, মহম্মদ শামি
বাংলাদেশ দল
মাশরাফি মোর্তাজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াধ, শাকবি আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হোসেন মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, সুনজামুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম