অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে পৃথ্বীর এই খেলা চলবে না, বলে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন অলরাউন্ডার কার্ল হুপার বলেছেন পৃথ্বীর এখনকার টেকনিক ও আক্রমণাত্মক স্টাইল বিদেশে কাজ করবে না।
১৮ বছর ৩২৯ দিন বয়সে টেস্টে অভিষেক ঘটিয়েই তিনি শতরান করেছেন। হয়েছেন ম্যাচের সেরা। কাজেই তিনদিনে টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সমানে আলোচনা চলছে পৃথ্বী শ-কে নিয়েই। এটা ঠিকই য়ে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আক্রমণ খুব উন্নত নয়, কিন্তু তাই বলে পৃথ্বীর ইনিংসকে এতটুকু ছোট করা যাবে না। তাঁর শতরানের মধ্য়ে ভবিষ্যতের এক দারুন কেরিয়ারের সম্ভাবনার আভাস পাওয়া গিয়েছে।
তাঁর ব্যাটিং দেখে কারোর মনে হয়েছে তিনি অনেকটা বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো ব্যাট করেন। আবার পেছনের পায়ে ভর দিয়ে পাঞ্চ করা মনে করিয়েছে ৯-এর দশকের ভয়ঙ্কর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অলরাউন্ডার কার্ল হুপারের কথা। ঘটনাচক্রে সেই হুপার এখন টেস্ট দেখতে ভারতে এসেছেন। স্টেডিয়ামে বসে পৃথ্বীর শতরানও দেখেছেন। তিনি কিন্তু মনে করছেন এই টেকনিকে ব্যাট করলে পৃথ্বী বিদেশে ব্যর্থ হবেন।
তিনি বলেছেন, 'ওকে (পৃথ্বীকে) দেখে মনে হয়েছে দারুন প্রতিভা। তবে ও পেছনের পায়ে ভর দিয়ে উইকেটের আড়াআড়ি খেলতে বেশি পছন্দ করে। এই টেকনিক ভারতে মাটিতে চললেও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যদি ব্যাট ও শরীরের মধ্যে অতটা করে ফাঁক থাকে তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়বে।'
১০২ টেস্ট খেলা অভিজ্ঞ হুপারের সঙ্গে কিন্তু একমত নন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার আকাশ চোপরা। ২০০৩-০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে কিন্তু আকাশ সফলবাবেই নতুন বল খেলে দিয়েছিলেন। তিনিও মানছেন পৃথ্বীকে টেকনিকালি কিছু কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হবে, কিন্তু টেকনিকই সব তা তিনি মনে করেন না। তাঁর প্রশ্ন অপ্রচলিত পথে খেলে যদি বীরেন্দ্র সেওয়াগ সফল হতে পারেন তবে পৃথ্বী কেন পারবেন না?
তাঁর মতে রাজকোট টেস্টে পৃ্থ্বীর ইনিংস ছিল ট্রেইলার। আসল সিনেমাটা দেখা যাবে বিদেশের মাটিতেই। আর তিনি নিশ্চিত পৃথ্বীও সেটা জানেন। আর সেইমতো নিজের খেলা নিয়ে খাটছেন বলেও বিশ্বাস করেন আকাশ চোপরা। কারণ আইপিএল-এ দেখা পৃথ্বীর থেকে টেস্ট অভিষেক ঘটানো পৃথ্বীই অনেক খুঁতহীন। এইভাবেই তিনি নিজেই পথ খুঁজে নেবেন বলে মনে করেন তিনি।
তবে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় যদি তিনি সফল নাও হন, সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আবেদন জানিয়েছেন বারতের এই প্রাক্তন টেস্ট ওপেনার। মুম্বইতে পৃথ্বীকে খুব কাছ থেকে দেখা মুম্বইয়ের প্রখ্যাত রঞ্জি ব্যাটসম্যান অমল মুদুমদারও মনে করেন না পৃথ্বীর টেকনিকে খুব বেশি বদল ঘটানোর প্রয়োজন আছে। তাঁর মতে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নিজস্ব খেলার ধরণ থাকে। পৃথ্বী আক্রমণাত্মক খেলতে ভালবাসে। আর বিদেশের মাটিতে প্রয়োজনীয় বদলটা করে নেওয়ার মতো প্রতিভা তাঁর আছে।