গ্রেগ চ্যাপেলের ষড়যন্ত্রে শামিল ছিলেন দ্রাবিড়ও! এই প্রসঙ্গে কী বলছেন সৌরভ
সৌরভকে সরানোর পরে যাঁকে অধিনায়ক করা হয় তিনি রাহুল দ্রাবিড়। তাহলে কি তাঁকে সরানোর চক্রান্তের পিছনে কর্ণাটকী দ্রাবিড়ের হাত ছিল? কী বলছেন সৌরভ।
২০০৫ সালে ভারতীয় ক্রিকেটের কুখ্যাত অধ্যায়গুলির মধ্যে অন্যতম, গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যা নিয়ে তার পরের কয়েক বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে ঝড় বয়ে যায়। সৌরভকে সরিয়ে যাঁকে অধিনায়ক করা হয় তিনি রাহুল দ্রাবিড়।
সৌরভকে সরানোর পরে যাঁকে অধিনায়ক করা হয় তিনি রাহুল দ্রাবিড়। তাহলে কি তাঁকে সরানোর চক্রান্তের পিছনে কর্ণাটকী দ্রাবিড়ের হাত ছিল? এই প্রসঙ্গে নিজের মনের কথা জানিয়েছেন সৌরভ। তিনি বলেছেন, আমি মনে করি না রাহুল দ্রাবিড়ের এতে কোনও ভূমিকা ছিল। কোচ কোনও কিছুর পিছনে পড়ে থাকলে অধিনায়কের অনেক কথাই শুনতে হয়। রাহুলের সঙ্গে এই নিয়ে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। এবং প্রতিবারই রাহুল আমাকে বলেছে, আমি ঠিক ফেরত আসব। তবে সেসময় এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে চ্যাপেল আমার বিপরীতে চলে গিয়েছেন।
চ্যাপেল বিতর্কের পর ২০০৫ সালের নভেম্বরে সৌরভকে একদিনের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। তারপরে ২০০৬ সালে জানুয়ারিতে টেস্ট দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়। যা নিয়ে সারা দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়। চ্যাপেলকে সারা দেশে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
তবে অসাধারণ লড়ে সৌরভ ২০০৬ সালের শেষদিকে ফের জাতীয় দলে ফেরেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপেও সুযোগ পান। তার পরের দুইবছরে অবসর নেওয়া ইস্তক জাতীয় দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন সৌরভ। চাপের মধ্যে এভাবে নিংড়ে দেওয়াই তাঁকে মানুষ হিসাবে আরও পরিণত করেছে বলেও জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।