‘চ্যালেঞ্জার্স’ কোহলি ফিরতেই ম্যাচ পকেটে পুরলেন রাহানেরা, রয়্যাল রাজস্থানই
সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তাঁর মারকাটারি ইনিংসের সমাপ্তি ঘটতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিল রাজস্থান রয়্যালস।
সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তাঁর মারকাটারি ইনিংসের সমাপ্তি ঘটতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিল রাজস্থান রয়্যালস। ২০ ওভার শেষে ছয় উইকেটে ১৯৮ করতে সমর্থ হয় বেঙ্গালুরু। এর ফলে বিরাটদের ১৯ রানে হারিয়ে রাহানেরা উঠে এলেন লিগ টেবিলের তিন নম্বরে।
বেঙ্গালুরুর সামনে জয়ের জন্য ২১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল টিম রাহানে। রাহানের টিম রাজস্থান রয়্যালস বিরাট রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ম্যাকালামের উইকেট খুইয়ে বসে বেঙ্গালুরু। তারপর অবশ্য কোহলি-শো শুরু হয়। ৩০ বলে ৫৭ রান করে কোহলির আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, ওই বিশাল রান কোহলিদের কাছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। বিরাট-এবিদের রুখবে কার সাধ্যি।
বিশেষ করে ডেভিলিয়ার্সের নিশ্চিত উইকেট যখন বাটলার মিস করলেন, তখন রাজস্থানের পক্ষে জয় পাওয়া দুঃসাধ্য হবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিরাটের উইকেট পতনের পরই এবি ডেভিলিয়ার্সের প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় ম্যাচ ঢলে পড়ে রাজস্থানের দিকে। শেষমেশ মননদীপ ও সুন্দর চেষ্টা করলেও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।
এদিন বেঙ্গালুরুর তারকাখচিত ব্যাটসম্যানদের সামনে বিরাট রানের এই বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার সিংহভাগ কৃতিত্ব রাজস্থানের তরুণ ব্যাটসম্যান সঞ্জু স্যামসনের। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন অজিঙ্কা রাহানে, বেন স্টোকস ও জস বাটলার। বাটলার আউট হওয়ার পর চালিয়ে খেলে দলকে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করেন রাহুল ত্রিপাঠীও। তিনি ৫ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। সঞ্জু করেন ৫৫ বলে ৪২ রান। এদিন টসে জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান বেঙ্গালুরুর ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। প্রথম থেকেই বিরাটের বোলারদের শাসন করতে থাকেন রাজস্থান রয়্যালসের ব্যটসম্যানরা।