রবি শাস্ত্রীতেই আস্থা রাখল বোর্ড, কোহলিদের কোচের পদে থাকবেন ২০২১ পর্যন্ত
রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে বেছে নিল বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি। এদিন কপিল দেবের নেতৃত্বাহীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি বোর্ডের কাছে স্কাইপিতে ইন্টারভিউ দেন শাস্ত্রী।
রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে বেছে নিল বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটি। এদিন কপিল দেবের নেতৃত্বাহীন ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটির কাছে স্কাইপিতে ইন্টারভিউ দেন শাস্ত্রী। এছাড়া এদিন কোচের লড়াইয়ে থাকা আরও চারজন ইন্টারভিউ দিয়েছেন। সেখান থেকে শাস্ত্রীকে কোহলিদের কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করা হল।
কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড় ও শান্তা রাঙ্গাস্বামীকে নিয়ে তৈরি তিন সদস্যের ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটির প্রত্যেকে আলাদা করে আবেদনকারী কোচেদের নম্বর দিয়েছেন। তিন সদস্যের নম্বরের বিচারে এগিয়ে যান শাস্ত্রী। কপিল দেব জানিয়েছেন যে, কয়েক পয়েন্টের বিচারে অন্যদের পিছনে ফেলে কোহলিদের কোচ হলেন রবি।
২০২১ সাল পর্যন্ত কোচের পদে থাকবেন শাস্ত্রী। অ্যাডভাইজারি কমিটির পয়েন্টের বিচারে দুই নম্বরে ছিলেন মাইক হেসন ও তিন নম্বরে ছিলেন টম মুডি।
কেন হেসন ও মুডিকে হারিয়ে কোচ হলেন শাস্ত্রী, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কপিল বলেছেন, 'দলের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্ক এখানে বিবেচ্য হয়েছে। পুরো টিমের সঙ্গে শাস্ত্রী দারুণভাবে মিশে থাকেন। ড্রেসিংরুমটা সবচেয়ে ভালো ম্যানেজ করতে পারেন শাস্ত্রী। সেকারণেই শাস্ত্রী এদিন কোচের দৌড়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দেন। কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের পরে এই বিষয়গুলিই জন্যই কমিটির মিলিত সিদ্ধান্তে শাস্ত্রীকে কোচ করা হল।'
সেই সঙ্গে কপিল দেব এটাও পরিষ্কার করে দেন, 'এক্ষেত্রে কোহলি বা ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে কোচ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। পুরোটাই আবেদনকারী কোচেরা কীভাবে নিজেদের ইন্টারভিউয়ে মেলে ধরেছেন, সেই বিচারেই কোহলিদের কোচ বেছে নেওয়া হয়েছে।'