'যেন গালে থাপ্পড় পড়েছিল', ২০১০-র এক ঘটনার উল্লেখ রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের
'যেন গালে থাপ্পড় পড়েছিল', ২০১০-র এক ঘটনার উল্লেখ রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের
একদিন আগেই তাঁকে ভারতের অন্যতম সেরা স্পিনারের মর্যাদা দিয়েছেন পাকিস্তানের লেজেন্ড সাকলিন মুস্তাক। সেই রবিচন্দ্রণ অশ্বিন এবার তাঁর জীবনের এক শিক্ষার কথা স্মরণ করলেন। জানালেন, ২০১০ সালের আইপিএল খেলার সময় তাঁর মনে হয়েছিল, কেউ যেন তাঁর গালে থাপ্পড় মেরেছেন। কেন এমন বললেন ক্যারাম বল স্পেশালিস্ট, জেনে নিন।
অশ্বিনের কেরিয়ার
ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে ৭০টি টেস্ট, ১১১টি ওয়ান ডে ও ৪৬টি টেস্ট ম্যাচে যথাক্রমে ৩৬২, ১৫০ ও ৫২টি উইকেট নিয়েছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। ব্যাট হাতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে তাঁর। যদিও এই মুহূর্তে ভারতের সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলে সুযোগ পান না চেন্নাইয়ের স্পিনার।
আইপিএলে অশ্বিন
২০০৯ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে প্রথম আইপিএল খেলেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। গত ১১টি আইপিএলে বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে ১০০-র বেশি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন চেন্নাই-র এই স্পিনার।
২০১০-র আইপিএল
২০১০ সালের এক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন রবিচন্দ্রণ অশ্বিন। এমন একটা সময় যখন ভারতীয় দলে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিতে তিনি তীব্র সংঘর্ষ চালাচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই তাঁকে আইপিএলে পরপর দুটি ম্যাচ বসিয়ে দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ওই ঘটনা তাঁর গালে থাপ্পড় পড়ার মতো মনে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রবি।
কী ঘটেছিল
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে তাদেরই ঘরের মাঠে আইপিএলের ম্যাচ খেলছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ওই ম্যাচের ১৪, ১৬, ১৮ ও ২০তম ওভার বল করেছিলেন সিএসকে-র রবিচন্দ্রন অশ্বিন। উইকেট তো পাননি, বরং ওই চার ওভারে ৪০ থেকে ৪৫ রান দিয়েছিলেন তিনি। অশ্বিনের বিরুদ্ধে হাত খুলে রান করেছিলেন আরসিবি-র রবিন উথাপ্পা ও মার্ক বাউচার। ওই ম্যাচ হেরেছিল চেন্নাই। পরের ম্যাচও সুপার ওভারে হেরে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। পরের ম্যাচে রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে বসিয়ে দিয়েছিল সিএসকে টিম ম্যানেজমেন্ট।
কী মনে হয়েছিল
রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের কথায়, ওই ম্যাচে বল শুরু করার আগে তাঁর মনে হয়েছিল তিনি সহজেই উইকেট পাবেন। কিন্তু প্রেক্ষাপট যে এত চ্যালেঞ্জিং হবে, তা তিনি ভাবতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। ওই ম্যাচের পর সিএসকে-র কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। তিনি এতটাই ব্যথীত ছিলেন যে, টিম হোটেল ছেড়ে তিনি বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই তাঁর কেরিয়ার শেষ বলে ভেবেছিলেন অশ্বিন। যদিও ওই অবস্থা থেকে দুর্দান্তভাবে ফিরেও এসেছিলেন রবি।
করোনার পর কবে শুরু বুন্দেসলিগা, ফুটবলারদের সঙ্গীর সঙ্গে চুম্বন বা যৌনতায় লিপ্ত হতে নিষেধ!