অশ্বিন - জাদেজা কী খতম, দাদা কোনও রাখঢাক করছেন না
একদিনের ক্রিকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাকে বিশ্রাম দিয়ে জুনিয়র স্পিনারদের সুযোগ দিয়েছিল ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। আসলে রোটেশান পলিসিতে সকলকে খেলাতে চেয়েছিলেন নির্বাচক ও দলের থিঙ্কট্যাঙ্করা।
একদিনের ক্রিকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজাকে বিশ্রাম দিয়ে জুনিয়র স্পিনারদের সুযোগ দিয়েছিল ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। আসলে রোটেশান পলিসিতে সকলকে খেলাতে চেয়েছিলেন নির্বাচক ও দলের থিঙ্কট্যাঙ্করা।
প্রাথমিকভাবে ভাবনা হয়েছিল এভাবে অশ্বিন ও জাদেজাকে কতদিন বসিয়ে রাখা হবে, কিন্তু ভারতীয় দলের দুই স্পিন অস্ত্র যজুবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদব যেভাবে কামাল করছেন তাতে অশ্বিন - জাদেজার একদিনের দলে ফেরার আশা ক্রমশই কমছে। শুধুমাত্র ভারতের মাটিতে নয় বিদেশে মানে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পেস-বাউন্স সহায়ক পিচেও কামাল করেছেন এই দুই তরুণ। ফলে সকলেই মুগ্ধ।
এর ফলেই প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপেও কী তাহলে দলের মূল স্পিন অস্ত্র হবেন এই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ। যদিও ভারতীয় দলের বোলিং কোচ ভরত অরুণের মতে এখনই শেষ হয়নি বিশ্বকাপের বার্থের লড়াই। তাঁর মতে চাহাল-যাদব দুরন্ত পারফরম্যান্স থাকলেও অশ্বিন- জাদেজার সুযোগ থাকবে।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট মহল করছে যে যাই বলুন একদিনের ক্রিকেট দলে অশ্বিন ও জাদেজার ফেরা অসম্ভব। প্রাক্তন পেসার অতুল ওয়াসন, বলেছেন , 'মানুষ নিরপেক্ষতা দেখানোর জন্য লোকদেখনি কথা বলতেই পারেন। বলতেই পারেন ওঁদের সুযোগ আছে। কিন্তু কুলদীপ বা চাহাল চোট না পেলে ওঁদের কোনও সুযোগ আছে মনে করি না। '
বিরাট কোহলিও নিজের এই দুই তরুণ রিস্ট স্পিনারকে খুবই পছন্দ করেন। ডিডিসিএ-র নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান আরও জানিয়েছেন এই দুই স্পিনারকে সমস্ত কন্ডিশনে খেলার জন্য তৈরি করা। তাতে ২০১৯ বিশ্বকাপে সুবিধা হবে টিম ইন্ডিয়ারই।
এদিকে অতুল ওয়াসনের সুরেই সুর মিলিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি জানিয়েছেন, 'অশ্বিন জাদেজার ওপর চাপ বাড়ছে, কারণ কুলদীপ ও চাহালের পারফরম্যান্স শুধু ভালোই নয় বিপক্ষকে ধুয়ে দিচ্ছে। এভাবেই যদি ওঁরা চালিয়ে যায়, তাহলে বাকিদের ওপর চাপ নিঃসন্দেহে বাড়বে। ঘরের মাঠে অশ্বিনের পারফরম্যান্স ভালো দেখা যাক সুযোগ পাওয়া যায় কিনা। '