পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান আয় নিয়ে মুখ খুললেন স্মৃতি মন্ধনা
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার পুরুষদের দলের পাশাপাশি বিসিসিআই প্রকাশ করে জাতীয় মহিলা দলের বার্ষিক চুক্তির তালিকা। মোটামুটি প্রত্যাশিত ভাবেই হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মন্ধনা ও পুনম যাদবকে এ গ্রেডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে পুরুষদের মতো এ প্লাস ক্যাটাগরি নেই। তবে পুরুষ ও মহিলা, দুটিতেই 'এ' ক্যাটাগরি থাকলেও অর্থের পরিমাণ দুটির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। যেখানে এ প্লাসে থাকায় বিরাট, রোহিতরা পান বছরে ৭ কোটি। সেখানে স্মৃতি মন্ধনা ও হরমনপ্রীতরা পান মাত্র ৫০ লক্ষ। এই নিয়েই বুধবার একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হয় স্মৃতি মন্ধনাকে।
সমান বেতন কাঠামো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কোনও রাগঢাক না করেই স্মডতি বলেন, 'আমি এই বিষয়ে একদমই চিন্তিন নই। আমাদের একটি জিনিস বুঝতে হবে যে আমরা যেই অর্থটা পাই সেটা পুরুষদের ক্রিকেটের আয় থেকেই আসে। যেদিন মহিলাদের ক্রিকেটও পুরুষদের মতো বর্ডকে আয় করতে সাহায্য করবে সেদিন আমি প্রথম মানুষ হিসাবে সমান আয়ের দাবি জানাব।'
আমি মনে করি না আমার সতীর্থদের মধ্যে কেউই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন কারণ এখন সবারই ফোকাস হল কেবলমাত্র ভারতের হয়ে ম্যাচ জেতা। যত ম্যাচ জিতব তত ভিড়কে আমরা স্বাগত জানাতে পারব আর উপার্জনও হবে। আমরা সেই বিষয়টিকেই লক্ষ্য করে এগিয়ে যাচ্ছি।' আমাদের পক্ষ থেকে এটি বলা অন্যায় যে আমাদের একই বেতন প্রয়োজন, এটি সঠিক নয়। সুতরাং আমি আমি বেতনের এই ফারাক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।'
ভারতীয় মহিলা দলের বার্ষিক চুক্তির পরিমাণ পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই কম। মহিলা দলের ক্ষেত্রে এ গ্রেডে থাকা ক্রিকেটাররা পান বছরে ৫০ লক্ষ টাকা। বি গ্রেড ও সি গ্রেডে থাকা খেলোয়াড়রা যথাক্রমে পান বছরে ৩০ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা করে। বি গ্রেডে মিতালী রাজ ছাড়াও আছেন ধুলন গোস্বামী, এক্তা বিশ্ত, রাধা যাদব, শিখা পান্ডে, দীপ্তি শর্মা, জেমাইমা রড্রিগেজ ও তানিয়া ভাটিয়া।