হার না মানা লড়াইয়ের নাম রোহিত শর্মা, অ্যান আনস্টপেবল হিটম্যান
হার না মানা লড়াইয়ের নাম রোহিত শর্মা, অ্যান আনস্টপেবল হিটম্যান।
২০০৭ সালের ২৩ জুন। ভারতীয় জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল রোহিত শর্মার। আর এখন তিনি ভারতের বিশ্বকাপ দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ বয়স্ক খেলোয়াড়। দীনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনির পরেই দলের তাঁর স্থান।
জাতীয় দলের হয়ে ১৩তম বর্ষে জীবনের অন্যতম সেরা ফর্মে রয়েছেন হিটম্যান। আরো একটি সফল আইপিএলের পর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দুটে সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ-অধিনায়ক। প্রথমটি এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ১২২ রান করেছিলেন রোহিত। ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪০ রান করে তিনি আরও একবার নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।
যদিও এতদূর পর্যন্ত রোহিত শর্মার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। যখন কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর মধ্যে ২২ গজের রাজা হওয়ার সব সম্ভাবনাই দেখেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ব্যাটে তো বটেই, বল হাতে আইপিএলে হ্যাটট্রিক করে নিজের দিকে তামাম দুনিয়ার নজর ঘুরিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই যেন ছন্দপতন ঘটে। বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির লিগেসিতে কেমন যেন হারিয়ে যেতে থাকেন রোহিত। ২০১১-র বিশ্বকাপ খেলার সুযোগও পাননি এই মুম্বইকর।
কিন্তু তাতে এতটুকু বিচলিত হননি ন্যাচারাল স্ট্রোক মেকার। যে কোহলিকে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হত, তাঁকে বন্ধু এবং ধোনিকে অভিভাবক সুলভ মর্যাদা দিয়ে, নিঃশব্দে নিজের কাজ করে যান হিটম্যান। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছাপিয়ে এখন ওয়ান ডে-তে ২৪টি শতরানের মালিক রোহিত। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর বানানো ইনিংস ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ম্যাচের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রোহিতের ১৪০-এ উচ্ছ্বসিত তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হিটম্যানের ব্যাট থেকে বিশ্বকাপে এধরণের আরো ইনিংস আসবে বলেই আশাবাদী বিরাট।