বাংলাদেশে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থন নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা, কী বললেন হিটম্যান
বাংলাদেশে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থন নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত শর্মা, কী বললেন হিটম্যান
বিশ্বের সব প্রান্তে টিম ইন্ডিয়ার সমর্থকরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলেও প্রতিবেশী বাংলাদেশে চিত্রটা পাল্টে যায় বলে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। বাংলাদেশি তামিম ইকবালের সঙ্গে কথোপকথনে এ সংক্রান্ত নিজের অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক।
পটভূমি
ফতেপুরের প্রেক্ষাপট। রইস আলাম নামের একটি বাচ্চা ছেলে, যাকে বেআইনি লেনদেন-এর জন্য রানার হিসাবে ব্যবহার করা হত। স্কুলে ব্ল্যাকবোর্ড দেখতে অসুবিধা হত, ডাক্তারের পরামর্শে ছোট বয়সেই চোখে চশমা লেগে যায় তার। কিন্তু সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছোট রইসের ডায়লগ 'ব্যাটারি নেহি বোলনেকা শালা'। তারপরই মায়ের থেকে পাওয়া সেই হিট উপদেশ, "কোই বি ধান্দা ছোটা নেহি হোতা, অউর ধান্দে সে বড়া কোই ধরম নেহি হোতা"।
এই একটাই উপদেশ রইসের মনে গেঁথে যায়। সে ঠিক করে নেয়, মদের ব্যবসা শুরু করবে সে। সঙ্গী বন্ধু সাদিক। খুব শিগগিরই মদ ব্যবসার কিংপিন জয়রাজ শেঠের (অতুল কুলকার্নি) ডান হাত হয়ে যায় সে।
কয়েক বছর কাটতেই রইস নিজের ব্যবসা দাঁড় করানোর কথা ভাবে। বন্ধু সাদিক (মহম্মদ জিসান আয়াব) সঙ্গে ছিল। অল্প সময়ের মধ্যে রইস নিজের রাজত্ব তৈরি করে। নিজের কাজ হাসিল করতে পুলিশ থেকে রাজনৈতিক নেতা সবাইকে তেল লাগাতেও শুরু করে দেয় রইস। কিন্তু নিজের পাড়ায় কিন্তু একেবাসে দেশি রবিনহুড রইস। কারোর বিপদ হলেই মসিহা রইস।
এরপর এন্ট্রি হয় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। ইন্সপেক্টর জয়দীপ মজুমদার। ট্রান্সফার হয়ে কাঁটা হয়ে ঢুকে পড়ে রইসের সাজানো বাগানে। ইন্সপেক্টর মজুমদারের একটাই লক্ষ্য রইসের রাজত্বকে নষ্ট করা এবং বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করিয়ে দেওয়া। এর পরই শুরু চোর-পুলিশের লুকোচুরি। বাকিটা জানতে হলে থিয়েটারে যেতেই হবে।['রইস' -এর প্রচারে ভিড়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ সুরেশ প্রভুর]
করোনা ভাইরাসের প্রভাব
বিশ্বব্যাপী ৪৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নব্বই হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ২৮০০-রও বেশি মানুষ। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন তিনশোরও বেশি মানুষ।
পরিচালনা
রাহুল ঢোলাকিয়ার এই ছবি দেখলে আপনার মনে হতে পারে অমিতাভের দিওয়ার বা অগ্নিপথের সমসাময়িক কোনও ছবি দেখছেন। মানে খানিকটা নস্টালজিক হতে পারেন। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদে উপলব্ধি করবেন, সত্তরের দশকের ছবি থেকেই পুরোটা টুকলি করার চেষ্টাই হয়ত করেছেন পরিচালক। তবে রইসের জিগরি ইয়ার সাদিকের চরিত্র নিয়ে আর একটু খেলতে পারতেন পরিচালক। কিন্তু হয়তো পার্শ্বচরিত্র বলেই হয়তো বেশি যত্ন নেননি পরিচালক। সেখানেই তো গলদ।
'রইস' রান্না করতে গিয়ে সব মশলা ঢেলে দিয়েছেন পরিচালক। আইটেম সং, রোমান্স, মারধার অ্যাকশন, জীবন বদলানো জ্ঞান। শুধু আবেগটা ঢালতে হয়তো ভুলে গিয়েছেন। মানে ধরুন খিচুরিতে ডাল দিতে ভুলে গিয়েছেন পরিচালক। শুধু চালটা (শাহরুখ খান) এত ভাল যে, ফেনা ভাত হিসাবে খেয়ে নিলেও কোনও আক্ষেপ থাকবে না।[ভদোদরায় 'রইস'-এর প্রচারে ভিড়ে মৃত ১,দুঃখপ্রকাশ শাহরুখের]
লকডাউনে ক্রিকেটাররা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশেই জারি রয়েছে লকডাউন। ঘরবন্দি রয়েছেন মানুষ। অলস সময়ে ঘরেই শরীর চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। কখনও আবার সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে দেশ-কালের বেড়াজাল ভেঙে একে ওপরের সঙ্গে কথোপকথনে লিপ্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। সেই তালিকায় থাকা টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বাংলাদেশি অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে কথা বললেন।
পারফরম্যান্স
বহুদিন পর ফের নেগেটিভ শেডে শাহরুখকে দেখে অনেকেই খুশি হয়েছেন। বি টাউনে ভিলেন ইমেজ ছেড়ে লাভার বয় হয়ে ওঠা শাহরুখ ফের ঠিক সময়ে ভিলেন ইমেজের টার্নটা খেলেছেন। বয়সের সঙ্গে চরিত্রও মানিয়েছে। পাশাপাশি এই লুকটা শাহরুখকে একটা বড় বুস্ট দিয়েছে। চাক দে ইন্ডিয়ার পর ফের অসামান্য অভিনয় পাওয়া গেল শাহরুখের। চলতি ভাষায় 'বহুদিন পর ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন শাহরুখ'।
অনেকেই বলেছিলেন, এই ছবিতে হয়তো শাহরুখকে অভিনয়ে ধরাশায়ী করবেন নওয়াজউদ্দিন। কিন্তু না হল না। নওয়াজ ভাল, তবে দুরন্ত হয়ে উঠতে পারেননি এই ছবিতে। এই ছবি প্রথম থেকে শেষ রইস শাহরুখেরই। তবে হ্যাঁ নিজের অভিনয় দিয়ে শাহরুখকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন তিনি।
মাহিরা খান, যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, এত আলোচনা, সেই মাহিরা চূড়ান্তভাবে হতাশ করেছেন। প্ল্যাস্টিক কন্যা বললেও কম বলা হয়। না কোনও অভিব্যক্তি রয়েছে, না শাহরুখের রোমান্সে ভরা নজর তার উপর কোনও প্রভাব ফেলেছে। তাই শাহরুখের হাজারো চেষ্টা সত্ত্বেও শাহরুখ মাহিরার রোমান্টিক দৃশ্য ঘুম পাইয়ে দিয়েছে। এত বিতর্কের পর যদি মাহিরার এই পারফরম্যান্স হয়, তাহলে ওকে পরবর্তী পরিচালক সাইন করার কথা ভাববেন কোন যুক্তিতে বলুন তো?
কী বললেন রোহিত
ক্রিকেটের প্রতি প্যাশন এবং ভালোবাসায় ভারত ও বাংলাদেশের সমর্থকরা সমান বলে মনে করেন রোহিত শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়কের কথায়, বিশ্বের সব প্রান্তেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন দুই দেশের ক্রিকেট প্রেমী। ফল ভালো হলে প্রশংসা পাওয়া যায়, আবার ব্যর্থতায় সমর্থকদের সমালোচনাতেও বিদ্ধ হতে হয় বলে জানিয়েছেন হিটম্যান।
সঙ্গীত
ছবির একটাও গান মনে দাগ কাটে না। হল থেকে বেরনোর এক মুহূর্ত পরই আর কোনও গান মনে থাকবে না। এখানেও সেই সত্তরের দশকের গানেই ভরসা রাখতে হয়েছে,লায়লা ম্যায় ল্যায়লা... তবে সত্যি কথা বলতে সানি লিওনিও হতাশই করেছেন এই গানে।
বাংলাদেশে সমর্থন পাওয়া যায় না
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে দুই দেশের ক্রিকেট যুদ্ধ বরাবারই অন্যমাত্রা নিয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই খেলা হোক, ভারত ও বাংলাদেশের সমর্থকরা মাঠ ভরিয়েছেন। মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু কেবল বাংলাদেশে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে গলা ফাটানোর মতো কোনও মানুষ তিনি খুঁজে পাননি বলে দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছেন রোহিত শর্মা। এমনটা কেন, সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
সবশেষে
শাহরুখ প্রেমিদের জন্য আজ বড় দিন, শাহরুখের জন্য নতুন করে গলা ফাটানোর অবশ্যই একটা কারণ হাতে এসেছে। ছবির সংলাপ বেশ অন্যরকম, একটু ক্লিশে হলেও নতুন স্বাদ দেবে। এই ছবি শাহরুখের জন্যই একবার নিশ্চই দেখতে হবে। এই ছবি দেখার পর হয়তো অন্য খান শিবির থেকে কয়েকটা আমদানি শাহরুখ শিবিরে হতেই পারে।
এমএস ধোনি খেললে তিনি সুযোগ পাবেন না, মেনে নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা