সচিনের দারুণ পদক্ষেপ, দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে সওয়াল মাস্টারব্লাস্টারের
দিন কয়েক আগেই বিশ্বকাপে জিতেছে ভারতীয় দৃষ্টিহীণদের ক্রিকেট দল। অনেকদিন ধরেই তাঁরা একটা দাবি জানিয়ে আসছেন এবার তাঁদের সুরে সুর মেলালেন সচিন।
দিন কয়েক আগেই চিরশত্রুকে পাকিস্তানকে হারিয়ে দৃষ্টিহীণদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারতীয় দল। তারপরেই দৃষ্টিহীণ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অজয় রেড্ডি দাবি তুলেছিলেন যাতে শুকনো টুইট বার্তা নয়, তাঁদের স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ করা হয়।
বিশ্বকাপ জেতার পরই দৃষ্টিহীণ দলের ক্রিকেট অধিনায়কের মুখের এই কথাকে কড়া বলে মনে হলেও, এই কথাটা সত্যিই যে ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশান ফর ব্লাইন্ড ইন ইন্ডিয়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অংশ নয়। যার ফলে আর্থিক যোগান থেকে পরিকাঠামোগত সুবিধা সব কিছুর জন্যই তাঁদের বিশাল লড়াই করতে হয়। এই নিয়ে চারবার দৃষ্টিহীণদের বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। কিন্তু তারপরেও বিসিসিআই তাঁদের সঙ্গে নিয়ে নেয়নি এই ক্রিকেটারদের।
এবার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে আসরে নামলেন মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। জানুয়ারির ২০ তারিখ কমিটি অফ অ্যাডমিনিসট্রেটরের চেয়ারম্যান বিনোদ রাইকে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার জন্য় চিঠি দিয়েছেন সচিন। দিন কয়েক আগেই শারজায় হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ২ উইকেটে জিতল টিম ইন্ডিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান দল ৮ উইকেটে ৩০৭ রান তোলে। ভারতের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০৮রান। প্রতি ওভারে ৭.৭ রান রেটে রান তোলার চ্যালেঞ্জের সামনে ভারতীয় দলকে দাঁড় করিয়ে দেয় পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে দারুণ পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। ৯ ওভারে ৬৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। দলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট প্রকাশ ৪৪ রান করে আউট হন। অধিনায়ক অজয় রেড্ডি ও সুনীলের জুটিতে ভারত ওয়াগন হুইল তরতর করে এগোচ্ছিল। ১১৯ রানে ৩ উইকেট থেকে রান এগিয়ে যায় ২৭১ রানে পরে ৪ উইকেট। সে সময় ভারতের দরকার ছিল ৩০ বলে ৩৭ রান। অজয় রেড্ডি পায়ে চোট পান। ৬২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এরপর হঠাৎই দারুণ ভাবে ম্যাচে নিজেদের দাপট দেখাতে শুরু করে পাকিস্তান। পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় ভারত। কিন্তু শেষ অবধি ভারতের মুখেই লেগে রইল শেষ হাসি। কিন্তু ২ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল।
নিজের চিঠিতে সচিন লিখেছেন, 'আমার এই নিয়ে টানা চারবার দৃষ্টিহীণের বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতেছে। আমি আবেদন করছি তাঁদের বিসিসিআইয়ের অঙ্গীভূত করা হোক। ' সচিনের এই আবেদন দারুণভাবে দেখছেন সকলেই। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে সচিনের মানবিক মুখ দেখা গেছে। তাঁর বলা কথার জোর অনেক সেটা সকলেই জানেন। এবার তাই দৃষ্টিহীণদের জন্য সচিনের সওয়ালও অনেকদিনের না পাওয়াকে ভরিয়ে দেবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় ক্রিকেটে দৃষ্টিহীণদের এই জয় আলাদা মাত্রা দিয়েছে এমনটাই মত ক্রিকেটে ভগবানের। বিসিসিআইয়ের যদি এই পদক্ষেপ নেয় তাহলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এই দল, এমনটাই অভিমত সচিনের। সচিন নিজের চিঠিতে আরও লিখেছেন , 'আমি জানি এটা দীর্ঘদিনের আবেদন , বিসিসিআই যদি তাদের পারফরম্যান্সের সম্মানসূচক এই পদক্ষেপ নেন তাহলে তাদেরও ভালো লাগবে। পাশাপাশি তাদের একটা লম্বা আর্থিক নিরাপত্তা আসবে। '