দেশবাসীকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে কী শিখতে বললেন সচিন তেন্ডুলকর
দেশবাসীকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে কী শিখতে বললেন সচিন তেন্ডুলকর
খেলা ছেড়েছেন প্রায় সাত বছর আগে। তবু ক্রিকেট যে তাঁর মনপ্রাণ জুড়ে, তা আরও একবার জানান দিলেন লেজেন্ড সচিন তেন্ডুলকর। ভয়াল করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায় মানুষকে টেস্ট ক্রিকেট থেকেই শিখতে বললেন মাস্টার ব্লাস্টার।
করোনার ভয়াবহ প্রভাব
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র রিপোর্ট অনুযায়ী ১৭৬টি দেশে উপস্থিতি জানান দিয়েছে করোনা ভাইরাস। বিশ্বে মারণ ভাইরাসের বলি ৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার। মারণ ভাইরাসের জেরে ভারতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
করোনায় বন্ধ ক্রিকেট
মারণ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে আইপিএল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিপাক্ষিক ওয়ান ডে সিরিজ। সব ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টও স্থগিত করে দিয়েছে বিসিসিআই। বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট খেলিয়ে দেশেও পরিস্থিতি একই।
এমন ঘটনা দেখেননি সচিন
নিজের দীর্ঘ ক্রিকেট কেরিয়ার, তার আগে এবং পরে বিশ্বে এমন জরুরি অবস্থা দেখেননি সচিন তেন্ডুলকর। ভাইরাস ঘটিত মারণ রোগের কারণে ক্রিকেট সহ বিশ্বের অন্যান্য ক্রীড়াক্ষেত্রগুলি এভাবে প্রভাবিত হতে পারে, তা তিনি কল্পনা করতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
কেন টেস্ট ক্রিকেটের উদাহরণ
সচিন তেন্ডুলকরের কথায়, টেস্ট ক্রিকেট খেলার সময় ব্যাটসম্যানদের সব ধরণের সক্ষমতার পরিচয় দিতে হয়। ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে ধৈর্যশীল হওয়া বিশেষভাবে জরুরি বলে মনে করেন সচিন। কোন বলে ডিফেন্স করবেন, কোন বল ছাড়বেন বা কোন বলে বাউন্ডারি মারবেন, তা ব্যাটসম্যানের উপস্থিত বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে বলেও জানিয়েছেন সচিন। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে ডিফেন্সই মূল অস্ত্র বলে মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
পার্টনারশিপ ও টিম ওয়ার্ক
সচিন তেন্ডুলকরের কথায়, টি-টোয়েন্টি বা ৫০ ওভারের ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত ক্যারিশমার ওপর ভর করে জয় হাসিল করা সম্ভব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর কথায়, টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে লম্বা পার্টনারশিপ ও দলগত পারফরম্যান্স প্রয়োজন। ঠিক একইভাবে করোনার বিরুদ্ধেও মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে বলে জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর।
ফিরে আসা
সচিন তেন্ডুলকরের কথায় টেস্ট ক্রিকেট পাঁচ দিনের খেলা। ম্যাচে দুই দল দুটি করে ইনিংস খেলার সুযোগ পান। প্রতি দিন তিনটি করে সেশন চলে। কোনও দল প্রথম ইনিংসে খারাপ খেললে দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে আসতে পারে। আবার কোনও দলের প্রথম সেশন খারাপ গেলেও দ্বিতীয় অর্ধে ফিরে আসার সুযোগ পায়। ঠিক একইভাবে করোনা মোকাবিলায় মনের জোর প্রয়োজন বলে মনে করেন সচিন তেন্ডুলকর। বিপদের মুখ থেকে ফিরে আসা মানেই জয় বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।