জয়-বীরুর মতোই তাঁদের বন্ধুত্ব, দূরত্ব মিটছে বুঝিয়ে দিল সচিনের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট
দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব তাঁদের। কিন্তু কিছু ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছিলেন দুজনেই । আজ তা অতীত।
ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়- একদম খাঁটি কথা , ফের একবার প্রমাণ করলেন সচিন তেন্ডুলকর। বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে যাঁর বন্ধুত্ব একসময় সারা দুনিয়ার কাছে জয়-বীরুর বন্ধুত্বের মত উদাহরণ ছিল, তা আবার পুরোন ছন্দে।
একইসঙ্গে জাতীয় দলে খেলা দিয়ে যে দুজনের হেডলাইন হত, তা সরিয়ে মধ্যে শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল দুজনের সম্পর্কের শীতলতা। কিন্তু সময় পেরিয়ে আজ তারা আবার বন্ধুত্বের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিজের ৪৬তম জন্মদিন পালন করলেন বিনোদ কাম্বলি। জন্মদিনে বার্থ ডে বয়ের স্বীকারোক্তি তাঁদের মধ্যে আবার সব পুরোপুরি পারফেক্ট। আর সচিনের পোস্টও সেই কথাকেই আরও সত্যি প্রমাণ করছে। নিজের এক সময়ের প্রিয় বন্ধুকে নিজের টুইট বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নিজের পোস্টে সচিন লিখেছেন , 'তুম জিও হাজারো সাল , অর সাল কে দিন হো হাজার ' তোমাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।
এদিকে পুরোন বন্ধুত্ব ফুল ফর্মে ফিরে আসায় খুশি সচিন ও কাম্বলির ফ্যানও। তারাও টুইটারে নিজেদের আবেগ উজাড় করে দিয়েছেন।
বিনোদ কাম্বলিও পোস্ট করেছেন কেক কাটার ভিডিও। যেখানে হাজির মাস্টারব্লাস্টার, বন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন।
বিনোদের পোস্টেও সকলেই নিজেদের শুভেচ্ছা উজাড় করে দিয়েছেন। সকলেই বিনোদকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
১৯৯৩ সালে বিনোদ কাম্বলি টেস্টে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, সচিন তেন্ডুলকরের আত্মপ্রকাশের তিন বছর বাদে তিনি জাতীয় দলে আসেন। এসেই দ্বিশতরান করেনস দুটি শতরান করে ছাপ রেখেছিলেন কাম্বলি। নিজের সাতটা ম্যাচেই এই নজির গড়েছিলেন তিনি।
কিন্তু মাত্র ১৭ টি টেস্ট খেলেই অদ্ভুত ভাবে শেষ হয়ে যায় বিনোদ কাম্বলির ক্রিকেট কেরিয়ার। ১৯৯৫ তে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন তিনিষ ৫৪.২০ গড়ে চারটি শতরান ও ৩ টি অর্ধশতরানের মালিক ছিলেন কাম্বলি।
অন্যদিকে একদিনের ক্রিকেটে ৯ বার প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বিনোদ কাম্বলি। ১৯৯১ থেকে ২০০০ অবধি ১০৪ টি একদিনের ম্যাচ খেলেনষ ২৪৭৭ রান ছিল তাঁর ঝোলায়। ৩২.৫৯ গড়ে ১৪ টি ৫০ ও ২ টি শতরান ছিল কাম্বলির।