স্বীকৃতির দিনে নেলসন ম্যান্ডেলাকে কেন স্মরণ করলেন সচিন তেন্ডুলকর
স্বীকৃতির দিনে নেলসন ম্যান্ডেলাকে কেন স্মরণ করলেন সচিন তেন্ডুলকর
২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ের পর সতীর্থের কাঁধে চেপে সচিন তেন্ডুলকরের মাঠ প্রদক্ষিণের মুহূর্তকে, গত ২০ বছরের সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে লরিয়াস। জার্মানির বার্লিনে হওয়া এক অনুষ্ঠানে মাস্টার ব্লাস্টারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তী স্টিভ ওয়া। সেই মঞ্চেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার কোন কথা স্মরণ করলেন সচিন।
১৯৮৩ থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু
১৯৮৩ সালে লেজেন্ড কপিল দেবের হাত ধরে প্রথমবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তখন সচিন তেন্ডুলকরের বয়স ছিল মাত্র ১০। সেই সাফল্যের পর দেশজুড়ে চলা উৎসব দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সচিন। বলেছেন, তখন থেকেই তিনি ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে বিশ্বকাপ হাতে তোলা লক্ষ্য হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
৬ বারের চেষ্টায় বিশ্বকাপ
১৯৮৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ১৯৯২-তে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হওয়া বিশ্বকাপ ছিল তাঁর জীবনের প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। এরপর ১৯৯৬, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭-র ক্রিকেট বিশ্বকাপও খেলে ফেলেন মাস্টার ব্লাস্টার। কিন্তু তিনি কাপ জয়ের স্বাদ পান ষষ্ঠতম বার। ২০১১ সালে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন সচিন। সেই অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা তাঁর কাছে নেই বলেই জানিয়েছেন লিটল মাস্টার।
|
হাল ছাড়েননি
২২ বছরের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের শেষলগ্নে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। তার আগে পাঁচ বারের ব্যর্থতা তাঁকে হতাশ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। বলেছেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি হাল ছাড়েননি। এত বছর পাশে থাকার জন্য তাঁর ভক্তদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিংবদন্তী। লরিয়াসের তরফ থেকে পাওয়া স্বীকৃতি ভারতের ক্রিকেট প্রেমীদের উৎসর্গ করেছেন সচিন।
নেলসন ম্যান্ডেলা
লরিয়াসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলাকে স্মরণ করেছেন সচিন তেন্ডুলকর। লিটল মাস্টার জানিয়েছেন, ১৯ বছর বয়সে ম্যান্ডেলার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় মাদিবা তাঁকে বলেছিলেন যে ত্রীড়াই একমাত্র ক্ষেত্র, যার মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য তৈরি হয়। নেলসন ম্যান্ডেলার সেই কথাকে তিনি নিজের জীবনের আদর্শ মানেন বলে জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর।