ক্রিকেট ভগবানের শতরানের সেঞ্চুরি, আরও একবার ফিরে দেখা
সচিন তেন্ডুলকরের শততম শতরান ফ্যানদের জন্য আনন্দ করার একটা মুহূর্ত
মার্চের ১৬ ক্যালেন্ডারের পাতায় সালটা ২০১২। আজ ছ'বছর পেরিয়েও সচিনপ্রেমীদের মনে দিনটা অম্লান। এই দিনেই শতরানে-র সেঞ্চুরিটা সেরে ফেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
ইতিহাস তৈরি হয়েছিল ঢাকার শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে। একদিনের ও টেস্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সচিন কেরিয়ারের শততম সেঞ্চুরির জন্য নিজে যতটা অপেক্ষা করেছিলেন তার চেয়েও বেশি অপেক্ষা করেছিলেন বোধহয় তাঁর ফ্যানরা।
২০১১ -র ১২ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেরিয়ারের ৯৯তম শতরান করেছিলেন মাস্টারব্লাস্টার। নাগপুরে বিশ্বকাপের সময় এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন তিনি। তার এক বছর চার দিন বাদে সচিনের কাছে ধরা দিয়েছিল শততম শতরান। এরমধ্যে তিনি ইংল্যান্ড, ওয়েস্টইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া-র বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছিলেন। খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজও। বেশ কয়েকবার কাছাকাছি পৌঁছেও শতরান আসেনি।
শাকিব আল হাসানের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের মঞ্চে এসেছিল শতরান। ১৩৮ বলে ১০ টি চার ও ১ টি ছয়ের সাহায্যে এই শতরান করেন ক্রিকেট ভগবান।
সচিন সেদিন বলেছিলেন, 'এই মুহূর্তে আমি কিছু ভাবতে পারছি না। আমার জন্য এটা একটা শক্ত অধ্যায় ছিল। এই মরশুমের শুরুটা ভালোই করেছিলাম, কিন্তু ভাগ্য আমার সঙ্গে ছিল না। আপনি যতই শতরান করুন, সেই আপনাকে ভিতর থেকে শতরান টেনে বার করতে হয়। '
শুধু এটুকুই বলেননি মাস্টারব্লাস্টার তিনি আরও বলেছিলেন, 'আমি যখন ৯৯তম শতরান করেছিলাম তখন কেউ সেটা নিয়ে কথা বলেননি, এটা সংবাদমাধ্যম যারা এটা নিয়ে কথা বলছিল। সবজায়গায় শুধু আমার শততম শতরান নিয়ে কথা উঠছিল। '
২০১০ ফেব্রুয়ারিতে তেন্ডুলকর প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবেএকদিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরানের নজির গড়েন। পাশাপাশি ডিসেম্বরেও ৫০ তম টেস্ট শতরানের বিরল নজিরও করেন তিনি।
এদিকে পরবর্তী পর্যায়ে অবশ্য সচিন তেন্ডুলকর জানিয়েছিলেন তিনি যবে থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন তখন থেকে বিশ্বকাপ হাতে তোলার স্বপ্ন দেখেছেন। শততম শতরানের লক্ষ্যে ক্রিকেট খেলা শুরু করেননি।