অনৈতিক, তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নেবেন না সচিন, হতাশ ছাত্রছাত্রীরা
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন শচীন তেন্ডুলকার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বছর সাম্মানিক ডিলিট দিতে চাওয়া হয়েছিল ক্রিকেট কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকারকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সচিন। জানিয়েছেন এথিকাল কারণে ওই সম্মান তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন এই বছর ২৪ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত হবে যাদবপুরের ৬৩তম সমাবর্তন উৎসব। সেখানেই আরও কয়েকজন কৃতী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে সচিনকে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এই নিয়ে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি ই-মেল করা হয়েছিল।
কিন্তু তাঁর জবাবে সচিন জানিয়েছেন তিনি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এই ধরণের সম্মান গ্রহণে অপারগ। কারণ ডক্টরেট উপাধি লাভের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যেহেতু সচিন সেই পরিশ্রম করেননি, বা এই সম্মান তিনি অর্জন করেননি, তাই তাঁর মতে এই সম্মান গ্রহণ নৈতিক দিক থেকে সঠিক নয়। এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাঁকে একই রকম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে ওই ইমেলে জানিয়েছেন সচিন।
সচিন রাজি না হওয়ায় যাদবপুরের আচার্য তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে আলোচনা করে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার মেরি কমকে ওই সম্মান দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। মেরি কম ওই সম্মান নিতে আসবেন। তাঁর সঙ্গে যাদবপুরের সাম্মানিক ডিলিট পাবেন প্রখ্যাত হেমাটোলজিস্ট তথা টাটা মেডিকাল সেন্টারের ডিরেক্টর মাম্মেন চ্যান্ডি, অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু ও ব্য়াঙ্কার চন্দ্রশেখর ঘোষ। সাম্মানিক ডিএসসি পাচ্ছেন মলিকিউলার বায়োলজিস্ট দীপঙ্কর চ্যাটার্জী।
তবে সচিন আসছেন না জেনে কিছুটা হতাশই যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরায তারা জানিয়েছেন, অনেকেরই ইচ্ছা ছিল হাতের কাছে মাস্টার ব্লাস্টারকে পেলে তাঁর অটোগ্রাফ নেবেন। অনেকে আবার সচিনের সঙ্গে সেলফি তোলার পরিকল্পনাও করেছিল। এর আগে ২০১১ সালে রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব হেল্থ সায়েন্সেস-এর প্রস্তাবিত সম্মানও ফিরিয়ে সবিনয়ে দিয়েছিলেন সচিন।