পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব হারালেন সরফরাজ আহমেদ
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হওয়ার শাস্তি স্বরূপ পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব খোয়ালেন সরফরাজ আহমেদ। পরিবর্তে লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন আজহার আলি।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হওয়ার শাস্তি স্বরূপ পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব খোয়ালেন সরফরাজ আহমেদ। পরিবর্তে লাল বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন আজহার আলি। তরুণ বাবর আজম পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি শিবিরের অধিনায়ক হতে চলেছেন বলে খবর।
২০১৬ সালে সরফরাজ আহমেদকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্ট দলের নেতা বাছা হয়েছিল। সে বছর ভারতে হওয়া ২০ ওভারের বিশ্বকাপে সরফরাজের নেতৃত্বে সাফল্য পায়নি পাক ক্রিকেট দল। ২০১৭ সালে সরফরাজকেই পাকিস্তানের ওয়ান ডে দলের অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়। সে বছর তাঁর নেতৃত্বেই ইংল্যান্ডে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে পাকিস্তান।
এরপর থেকে নামতে করতে শুরু করে সরফরাজ আহমেদ ও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভাগ্য। ইংল্য়ান্ডে মাস তিনেক আগে শেষ হওয়া ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে আশা জাগিয়েও টুর্নামেন্টের শেষ চারে প্রবেশ করতে পারেনি পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে সরফরাজ আহমেদকেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নেতা বাছা হয়।
সরফরাজের নেতৃত্বে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২-০ ফলে ওয়ান ডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচই হারে পাকিস্তান। ওই সিরিজে সরফরাজ আহমেদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ও নেতৃত্ব দেওয়ার পদ্ধতিতে অসন্তুষ্ট হন পাক ক্রিকেট দলের হেড কোচ তথা প্রধান নির্বাচক মিসবা-উল-হক। শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরফরাজকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাদেরই মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। সেই সফরের জন্য দল ঘোষণার আগে অধিনায়ক পরিবর্তনকে উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে ক্রিকেট মহল।