বেটিং কাণ্ডে বোর্ডের ৩ সদস্যের কমিটি খারিজ করল শীর্ষ আদালত, তদন্তে রাজি মদগল কমিটি
রবিবার বিসিসিআই-এর ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বেটিং ও স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে আভ্যন্তরীন তদন্তের জন্য নয়া কমিটি গঠন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জে এন পাটেল, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রবি শাস্ত্রী এবং প্রাক্তন সিবিআই প্রধান আরকে রাঘবনকে মনোনিত করা হয় বৈঠকে। মঙ্গলবার বোর্ড তাদের প্রস্তাবিত নাম তিনটি শীর্ষ আদালতে পেশ করলে তা খারিজ করে দেয় আদালত।
সংবাদসংস্থা পিটিআইসূত্রের খবর অনুযায়ী, মুদগল কমিটি এই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কিনা সে বিষয়ে মুদগল কমিটির বরিষ্ঠ পরামর্শদাতা গোপাল সুব্রমনিয়ানের কাছে জানতে চান শীর্য আদালতের বিচারপতি একে পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। মুদগল কমিটি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি মুকুল মুদগল।
তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে শীর্ষ আদালতকে জানিয়ে দিয়েছে মুদগল কমিটি
এদিকে বোর্ডের তরফে যে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল আইপিএল বেটিং কাণ্ডের তদন্তের জন্য তাঁদের উপরও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে ক্রমে। অনুমান করা হচ্ছে এই তিন প্রস্তাবিত ব্যক্তির সঙ্গে হয়তো বোর্ড বা শ্রীনির সঙ্গে কোনও যোগসূত্র রয়েছে।
গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালেতর নির্দেশ দিয়েছিল স্বচ্ছ তদন্তের জন্য বিসিসিআইকে তিন জনের একটি কমিটি গঠন করার জন্য। এদিকে পরে জানা যায় বোর্ডের প্রস্তাবিত তিন নামের মধ্যে জেএন পটেল সম্পর্কে বিসিসিআই সভাপতি শিবলাল যাদবের জামাইবাবু হন।
এদিকে বিসিসিআই সভাপতি শরদ পাওয়ার বলেন, কোনও মামলার ক্ষেত্রে আসামী যদি বিচারকের সম্পর্কিত বা চেনা হন, তাহলে বিচারক সেই মামলা থেকে নিজের নাম তুলে নেন। জে এন পটেলের সুনাম রয়েছে। আমি নিশ্চিত তিনি নিজেই এই তদন্ত কমিটির সদস্য হতে চাইবেন না।
এদিকে রবি শাস্ত্রীর নাম নিয়েও পাওয়ারের আপত্তি রয়েছে। রবি শাস্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিসিসিআই-এর সঙ্গে যার আর্থিক চুক্তি রয়েছে সে কী করে বিসিসিআই প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া কমিটির সদস্য হতে পারেন।