বুকির সঙ্গে শাকিবের কথোপকথন প্রকাশ্য আনল আইসিসি, বিস্তারিত জেনে নিন
ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ভারতীয় বুকির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়েও শাস্তি কমিয়ে এক বছর করেছে আইসিসি।
ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে ভারতীয় বুকির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়েও শাস্তি কমিয়ে এক বছর করেছে আইসিসি। এর অর্থ, ২০২০-র ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না শাকিব। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত ভারতীয় বুকির কথোপকথনও এবার প্রকাশ্যে আনল বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
২০১৭-র পরিচয়
আইসিসি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলার সময় ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া শাকিব আল হাসানের ফোন নম্বর দীপক আগরওয়াল নামে এক ভারতীয় বুকিকে দেন ওই দলেরই এক অল রাউন্ডার। সেই বছরের নভেম্বরে হোয়াটস অ্যাপে শাকিবের সঙ্গে ওই বুকির কথা হয়। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারকে দেখা করতে বলে দীপক।
২০১৮-র পরিণতি
আইসিসি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য শাকিব আল হাসানের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে ফের যোগাযোগ করে ওই ভারতীয় বুকি। সেই সিরিজের একটি ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান শাকিব। সেদিন দীপক আগরওয়াল নামে ওই ভারতীয় বুকি, শাকিবকে হোয়াটস অ্যাপে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায় বলে জানিয়েছে আইসিসি। ওই বুকি বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটারকে আরও একটি বার্তায় লেখে, 'আমরা কী এই সিরিজেই কাজ করব না আইপিএলের জন্য অপেক্ষা করব'। আইসিসি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই সিরিজ চলাকালীন ওই ভারতীয় বুকি শাকিবের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে বলে অভিযোগ। লেখে, 'এই সিরিজে কিছু হবে ভাই'?
আইপিএল
আইসিসি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দুই বার বুকির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন শাকিব আল হাসান। অভিযোগ, ওই বছরই আইপিএল চলার সময় দীপক আগরওয়াল আরও একবার বাংলাদেশী তারকার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই বুকি শাকিবের কাছে বিট, ডলার অ্যাকাউন্ট ডিটেলস চায় বলে অভিযোগ। তবে প্রতিক্ষেত্রেই শাকিব দীপকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন বলেও জানিয়েছে আইসিসি।
শাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযোগ, বছর দুই আগে শাকিব আল হাসানের কাছে এক বুকির তরফে ২০১৮ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য তিনবার প্রস্তাব আসে। সবকটি প্রস্তাব নাকি খারিজ করে দেন শাকিব। কিন্তু সেই ঘটনা তিনি আইসিসি-র কাছ থেকে চেপে যান বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁকে ম্যাচ ফিক্সিং-র প্রস্তাব দেওয়া বুকির নামও চেপে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে শাকিবের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ মেনে নেন শাকিব
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই মেনে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার শুনানিতেও হাজির হন শাকিব। দুই বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়েও তাঁর শাস্তি এক বছর কমিয়ে দিয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। এর অর্থ, ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।