বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে করোনা লকডাউনের মাঝে বাইশ গজের প্রস্তুতিতে ভারতীয় ক্রিকেটার
বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে করোনা লকডাউনের মাঝে বাইশ গজের প্রস্তুতিতে ভারতীয় ক্রিকেটার
করোনা সতর্কতায় দেশজুড়ে লকডাউন। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে উঁকি দিলে একাধিক দেশে করোনা উদ্বেগে লকডাউন চলছে। ইউরোপে করোনা পরিস্থিতি শিথিল হতে জার্মানিতে ফুটবল ফিরেছে। এটুকু বাদ দিলে এখনও করোনার করাল গ্রাসে কাঁপছে বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বাইশ গজে প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন শার্দুল ঠাকুর।
লকডাউনের মাঝেই ক্রিকেট অনুশীলন
করোনা সংক্রমণ রুখতে ১৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ভারতে এখন চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে। এর মাঝে শনিবার ভারতীয় পেসার শার্দুল অনুশীলনে নেমে পড়েন।
মহারাষ্ট্রে শুরু প্রস্তুতি
ভারতে মহারাষ্ট্র করোনা প্রবণ রাজ্য। রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এই পরিস্থিতিতে মুম্বই থেকে ১১০ কিমি দূরে পালঘর জেলার বয়সারের স্থানীয় একটি ক্রিকেট মাঠে শনিবার নেটে অনুশীলন করেন শার্দুল।
স্থানীয় ক্রিকেটাররাও অনুশীলন করেন
জানা গিয়েছে শনিবার স্থানীয় ক্রিকেটাররাও ঐ মাঠে অনুশীলনে নেমে পড়েন। লকডাউনে দীর্ঘদিন গৃহবন্দির পর শরীর তাজা রাখতে দুমাস পর মাঠে ফিরলেন বলে শার্দুল জানিয়েছেন।
তাপমাত্রা পরীক্ষা করে শুরু ক্রিকেট
অনুশীলনে আসা ক্রিকেটারদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিয়ে তারপর মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। করোনা রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্র্যাকটিস হয়। বলে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে খেলা শুরু হয়।
দর্শকশূন্য রাখার শর্তে স্টেডিয়াম খোলায় অনুমতি
করোনা লকডাউনের চতুর্থ দফার কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে মাঠ ও স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলি খোলার অনুমতি মিলেছে। এরপর পালঘরের স্থানীয় মাঠে ক্রিকেট প্রস্তুতি শুরু হয়।
বোর্ডের রোষানলে পড়তে পারেন শার্দুল
জানা যাচ্ছে, মাঠে প্রস্তুতির আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের থেকে শার্দুল কোনও পরামর্শ নেননি। করোনার মাঝে কেন এভাবে ঝুঁকি নিয়ে ক্রিকেট ফিরলেন তা নিয়ে বোর্ডের অন্দরে কথা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে করোনা প্রকোপ অন্য রাজ্যের থেকে বেশি জেনে ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে শার্দুলের তাড়াহুড়ো দেখানো বোর্ডের পছন্দ নাও হতে পারে। বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, 'শার্দুল মাঠে নামতে চলেছে বলে কোনও তথ্য ছিল না। বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে ঝুঁকি নিয়েছে শার্দুল।'
আম্ফান বিপর্যয়ে মানুষের পাশে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা