হাসিনা-মমতা বাজালেন ঘণ্টা, সেনার ব্যান্ডে ইডেনে শুরু গোলাপি বলের যজ্ঞ
হাসিনা-মমতা বাজালেন ঘণ্টা, সেনার ব্য়ান্ডে ইডেনে শুরু গোলাপি বলের যজ্ঞ
তখনও খেলা শুরু হতে মিনিট কুড়ি বাকি। টস হয়েছে সদ্য। জ্যাম প্যাকড ইডেন গার্ডেন্সের সবুজ গালিচায় পা রাখলেন বিসিসিআই সভাপতি তথা ঘরের ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। হাততালি, চিৎকারে ভেদ হল গগন।
আচমকাই পিছনে ঘুরে হাত প্রসারিত করে কাউকে কিছু ইসারা করলেন মহারাজ। ক্যামেরার লেন্স সেই অভিমুখে। তাকিয়ে দর্শকরাও। সেদিকেই হাত নাড়িয়ে মাঠে এলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পিছনেই হেঁটে মাঠে প্রবেশ করা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহর যে গোলাপি ম্যাচ ঘিরে কতখানি উদ্বেল, তা জানান দিল ইডেন। করতালি দিয়ে দুই নেত্রীকে স্বাগত জানাল মাঠ। যেখানে ক্রিকেট ও আবেগ মিলেমিশে একাকার। মিলেমিশে এক হল দুই বাংলা। নিবিড় হল ঐকান্তিকতা, ভালোবাসা।
মাঠে নেমে আসেন ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ। মাঠের এক প্রান্তে লাইন করে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তাঁদের দিকে এগিয়ে আসেন শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সামনে মহারাজ, অদূরে সচিন। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির দিকে এগিয়ে যান বিসিসিআই সভাপতি। মহারাজকীয় ঢঙে বিরাটের সঙ্গে শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচয় করান সৌরভ। এরপর দুই নেত্রীর সঙ্গে দলের খেলোয়াড়দের পরিচয় করানোর দায়িত্ব তুলে দেন ভারত অধিনায়কের হাতে। মাথা ঝাঁকিয়ে মহারাজের কথায় সায় দেন বিরাট।
সেই মতো একে একে দলের সব ক্রিকেটারদের সঙ্গেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পরিচয় করান বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও করমর্দন করেন শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তাঁরা এগিয়ে যান ইডেনের গ্যালারির ঘণ্টার দিকে। তিস্তার জলবন্টন বিতর্ক ভুলে দুই নেত্রী তখন দাঁড়িয়ে পাশাপাশি। দু-জনের মুখেই চওড়া হাসি। একই সঙ্গে ঘণ্টা বাজিয়ে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টের সূচনা করেন তাঁরা।
মাঠে তখন উপস্থিত ভারতীয় সেনার ব্যান্ড। বাদ্যযন্ত্রে একে একে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতের সুর উঠল বেজে। আবেগাস্রুতে ভাসল জ্যাম প্যাকড ইডেন। আকাশভেদী গর্জন আম্পায়ার বললেন, 'লেটস প্লে'।