সুইৎজারল্যান্ডে ক্রিকেট ধামাকা শেওয়াগের, জাত চেনালেন নজফগড়ের নবাব
ফের জাত চেনালেন নজফগড়ের নবাব। ব্যাট হাতে ঝলসে উঠলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ।
বাঘ বুড়ো হলেও বাঘ- বাংলার একটা জনপ্রিয় প্রবাদবাক্য অর্থাৎ বয়স হলেও স্কিলে কখনও প্রভাব পড়েনা। বরফের উপর ক্রিকেট খেললেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। ৪০ -এ ফের একবার জাত চেনালেন নজফগড়ের নবাব।
[আরও পড়ুন: শীতকালীন অলিম্পিক্সের আসর বসছে দক্ষিণ কোরিয়ায়, বরফে তুফান তুলবেন বিশ্বসেরারা]
সেন্ট মরিজে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আইস ক্রিকেট চ্যালেঞ্জে শোয়েব আখতারের বল এমন ভাবে তুলোধনা করলেন শেওয়াগ যেন ১০ বছর আগের বীরু। পিচের বদলে ছিল ম্যাট, লুকেও ছিল কিছুটা পরিবর্তন। চোখে চশমা মাথায় টাক। কিন্তু জাত তো আর ধুলে যাওয়ার জিনিস নয়।
এদিন প্রায় জনা ৫০০ দর্শকের সামনে নিজের পুরোনো ক্রিকেটটা খেললেন নজফগড়ের নবাব। যদিও যাঁরা ম্যাচটা দেখতে হাজির ছিলেন ক্রিকেট সম্পর্কে তাদের বিশেষ একটা জ্ঞান নেই। তাই তার বারবার বোঝার চেষ্টা করছিলেন খেলাটা কী চলছে। স্থানীয় এক সুইস দর্শকের মতে ,'খানিকটা গলফের ধরণের এই খেলা, এবং বেশ রিল্যাক্স ভাবে খেলাটা খেলা যায়। '
আল্পাইনের পার্বত্য শ্রেণীর সামনে সুইৎজারল্যান্ডে এতদিন প্রকৃতির নিঃসর্গ নয় সুন্দরী হিরোইনদের দেখে দিন কেটেছে আপনার। এবার সেখানেই ধামাল মাচালেন বীরু। সাদায় মোড়া ক্যানভাসের ছয়- চারের আগুন ছোটাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়াও ছিল শহিদ আফ্রিদির সেলিব্রেশন, শোয়েব আখতারের শ্লেজিং যা এককথায় ফের একবার ২০০০ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল।
জমে যাওয়া সেন্ট মরিজ লেকে কাঠের প্ল্যাঙ্কে বসেছিল খেলার আসর। শেওয়াগ এর আগেও উইন্টার অলিম্পিক্সে ক্রিকেটকে অঙ্গীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, এদিনের তাদের ক্রিকেট সেই বার্তাটাই আরও একবার দিল। এদিনের ম্যাচ খেলা হয় পিঙ্ক বলে।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনের আগেই বার্সা দলের উপহার কোচকে, দেখুন দুরন্ত জয়ের ভিডিও ]
মাইনাস ক্রমাঙ্কে থাকা তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করার জন্য সমস্ত প্লেয়ারই তিন থেকে চার পরতের শীত পোশাক চাপিয়েছিলেন। পাশাপাশি ঠান্ডা বরফে বল বাউন্স খাইয়ে পাঠানো এবং কিপারদের ও ফিল্ডারদের পক্ষে বল গ্রিপ করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
শেওয়াগ জানিয়েছেন, 'এটা দারুণ ভাবনা, মানুষের মধ্যে এটাকে জনপ্রিয় করা দরকার। এটা থাকলে সেন্ট মরিজ স্পোর্টস টুরিজম ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতে পারবে। ' ১৯২৮ ও ১৯৪৮ সালে দুটি উইন্টার অলিম্পিক্স আয়োজন হয়েছে এখানে। এখন সুইস পর্যটন মন্ত্রক চাইছে খেলাকে ভিত্তি করে আরও বেশি পর্যটক নিয়ে আসতে।