কেমন ছিল মাভির উঠে আসার গল্প? জেনে নিন তাঁর মুখ থেকেই
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্রিকেট অ্যকাডেমিতে পাওয়া চোট একটা সময় মনোবল নাড়িয়ে দিয়েছিল মাভির। তবে, মনের জোড়ে এবং ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে ক্রিকেট সার্কিটে দারুণ ভাবে ফিরে আসেন শিভম মাভি।
যাঁরা ভারতীয় ক্রিকেটের বিস্তারিত খবর রাখেন তাঁদের কাছে নিঃসন্দেহে পরিচিত নাম শিভম মাভি। ক্রমাগত ১৪৫ কিমি/ঘন্টা বেগে বল করতে পারা এই তরুণ প্রতিভা নজরে এসেছিল সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে। টুইট করে মাভির বোলিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিশ্বকাপে
দাপুটে
বোলিংয়ের
জন্যই
এই
বছর
তাঁকে
দলে
নিয়েছে
কলকাতা
নাইট
রাইডার্স।
কিন্তু,
ভারতীয়
ক্রিকেটে
ধীরে
ধীরে
নিজের
জায়গা
তৈরি
করে
নেওয়া
কে
এই
শিভম
মাভি?
কী
ভাবেই
তাঁর
উথ্যান?
প্রশ্নগুলি ইতিমধ্যেই ঘোরা ফেরা করছে ক্রিকেট সমর্থকদের মনে। এই প্রতিবেদনে ক্রিকেট পিপাসুদের সেই সকল প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হল।
১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের নয়ডায় জন্ম হয় শিভমের। ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। আর এই উৎসাহকে লক্ষ করেই ছেলেকে কম বয়সেই স্থানীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করেন তাঁরা বাবা।
মাভির কেরিয়ারে প্রথম ব্রেক আসে যখন তাঁকে ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দলে সুযোগ দেয় বিসিসিআই। রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে বিশ্বকাপে মাভির ফর্মও ছিল ঈর্শনীয়। কিন্তু এই যাত্রাটা একে বারেই সহজ ছিল না শিভম মাভির জন্য।
মাভির বয়স তখন ১৫। অনূর্ধ্ব-১৬ ক্যাম্পে সুযোগ পাওয়ার জন্য লাগাতার পরিশ্রম করে চলেছেন মাভি। সেই সময় একটি ক্রিকেট ক্যাম্পে স্ল্যাইডিং দেওয়া শিখতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান তিনি। স্লাইড মারার অনুশীলণে ব্যালেন্স ঠিক মত রাখতে না পারায় হাঁটুতে চোট লাগে মাভির। বাড়ির লোক এবং অ্যকাডেমির কোচ নির্ভরতা দিলেও মাঠে না নামতে পেরে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন তরুণ এই ক্রিকেটার।
তবে, বেশি দিন ঘরে বসে থাকতে হয়নি তাঁকে। নিজের ইচ্ছাশক্তিতে এবং ডাক্তারের কথা মতো চলায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মাঠে ফেরেন তিনি। প্রথম দিকে ল্যান্ডিং-এ কিছুটা সমস্যা হলেও পরের দিকে সেই সমস্যাকে অতিক্রম করে ফের স্ব মহিমায় ধরা দেন মাভি।
চোট থেকে নিজর ফিরে আসার গল্প নিজে মুখেই একটি ভিডিও-এ শেয়ার করেন তিনি। সেই ভিডিওটি টুইট করা হয়েছে কেকেআর-এর টুইটার হ্যান্ডেলে।