'হরভজনকে মারতে হোটেল রুম পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম' চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি শোয়েব আখতারের
'হরভজনকে মারতে হোটেল রুম পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম' চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি শোয়েব আখতারের
'হরভজনকে মারতে হোটেল রুম পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম'। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে উত্তেজনা তুল ধরে এমনটাই বলেছেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস শোয়েব আখতার।
১০ বছর আগের ঘটনা
করোনা উদ্বেগ নিয়ে চিন্তায় বিশ্ব। এর মাঝে ক্রিকেট নিয়ে আড্ডায় ক্রিকেটভক্তদের মন ভরিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ইউটিউবে নিয়মিত ভিডিও বানিয়ে করোনা সচেতনতা ও ক্রিকেট নিয়ে মন্তব্য রাখছেন আখতার। এমনই এক ক্রিকেট আড্ডায় ১০ বছর আগের এশিয়া কাপে হরভজন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি নিয়ে মন্তব্য করলেন।
সেদিন কী হয়েছিল
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে নীচের দিকে ব্যাটিং করে একা হাতে পাকিস্তানের থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হরভজন। দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পাক দলের মুখের গ্রাস কেড়ে নেওয়ায় পথে শোয়েব আখতারের বোলিং স্পেলে ভাজ্জি-রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের মধ্য কথার লড়াই চলে।
দুই ক্রিকেটারের মধ্যে কথার লড়াই
৪৭ তম ওভারে আখতারে ডেলিভারিতে লং অন অঞ্চলে ছক্কা হাঁকান হরভজন। পরে আখতার ভাজ্জির পাঁজর লক্ষ্য করে পরপর দুটি বডি লাইন বাউন্সার দিয়ে পরিস্থিতি তাতিয়ে দেন। দুই ক্রিকেটারই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে একে অন্যের দিকে তেড়ে যান। দুই ক্রিকেটারের মধ্যে বাক্য বিনিময়ও হয়।শোয়েবের সঙ্গে যখন হরভজনের ঝামেলা হয়, তখন ক্রিজের অপরপ্রান্তে ছিলেন সুরেশ রায়না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভাজ্জি লড়াই জেনেন। ডান হাতি স্পিনার সেদিন ১১ বলে ১৫ রান জুড়ে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।
শোয়েব বলেছেন
শোয়েব বলেছেন, 'এশিয়া কাপের ম্যাচ শেষে হরভজন সিংহে সঙ্গে লড়াই করার জন্য হোটেলের ঘরে চলে গিয়েছিলাম। হরভজন আমাদের পাঞ্জাবী ভাই ছিল। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওর সংস্কৃতির মিল রয়েছে। আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত, লাহৌরে আমাদের সঙ্গে ঘুরত-বেড়াত। তারপরও কেন আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে? মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। রাগের মাথায় হোটেলে গিয়ে ওর সঙ্গে ঝামেলা করব বলে ভেবেছিলাম। কোনওভাবে ভাজ্জিও জানত শোয়েব আসছে। কিন্তু সেদিন আমি ওকে খুঁজে পাইনি। পর দিন আমার মেজাজ ঠান্ডা হতে হরভজন ও আমি দুজনে দুজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিই।'
ভাজ্জি যা বলেছেন
শোয়েবের সঙ্গে ঐ ঝামেলা প্রসঙ্গে ভাজ্জি জানিয়েছেন, 'শোয়েব আমাকে ঘরে এসে মারবে বলে হুমকি দিয়েছিল আমিও এসো, দেখা যাবে বলে মন্তব্য করি।' সঙ্গে হরভজন জোড়েন, 'যদিও ওর চোহারার কারণে মনে বেশ ভয় ধরে গিয়েছিল।'
ম্যাচের স্কোর
ডাম্বুলায় প্রথম ব্যাট করে সেদিন পাকিস্তান ২৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। এর রান তাড়া করতে নেমে এক বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য ৩ রান দরকার ছিল ভারতের। মহম্মদ আমিরের বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন হরভজন সিং।