ঐ প্রস্তাব আসলে, অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রমকে খুন করতাম! কেন বললেন শোয়েব আখতার
ঐ প্রস্তাব আসলে, অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রমকে খুন করতাম! কেন বললেন শোয়েব আখতার
পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সম্পর্ক বেশ পুরনো। তবে পাকিস্তানের যে কয়েকজন ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পেরেছেন, তাদের মধ্য অন্যতম নাম শোয়েব আখতার।
ফিক্সারদের রীতিমত ঘৃণা করেন শোয়েব
ক্রিকেট কেরিয়ারে শোয়েবের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ ছিল। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের জন্যে পাকিস্তান ক্রিকেটের কোনও দিন সম্মানহানি হয়নি। পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার ফিক্সারদের রীতিমত ঘৃণা করেন। এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব এমন মন্তব্যই করেছেন।
অধিনায়ককে খুন করতেন!
সাক্ষাৎকারে শোয়েব এও জানিয়েছেন, 'যেহেতু ফিক্সিংকে আমি ঘৃণা করি, আমার অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম যদি আমাকে কোন দিনও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিতেন, তাহলে আমি তাঁকে খুন করে বসতাম। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে বেইমানি করতে পারতাম না। সত্যি বলতে ওয়াসিম ভাই সৎ মানুষ। তিনি কখনোই আমাকে এধরনের কোনোও প্রস্তাব দেননি।'
পাকিস্তান ক্রিকেট ফিক্সিংয়ে রোগ বহু পুরনো
পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে ফিক্সিংয়ে রোগ বহু পুরনো।ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ হওয়ার নজির রয়েছে। অধিনায়ক সালমান বাট, মহম্মদ আমির এবং মহম্মদ আসিফকে দিয়ে লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং করিয়েছিলেন। ২০১০ সালে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড লর্ডস টেস্টের সেই ঘটনা ক্রিকেটদুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
শাস্তি
ফিক্সিংয়ের কারণে ক্রিকেট থেকে আমির ৫ বছর, বাট ও মহম্মদ আসিফ ১০ বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন। তিন ক্রিকেটারের হাজতবাস হয়েছিল।
ফিক্সিং সমস্যা নিয়ে তথ্য ফাঁস আখতারের
গত বছর পাকিস্তান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং সমস্যা নিয়ে চমকে দেওয়া তথ্য ফাঁস করেন শোয়েব আখতার। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, 'আমার সময় ২১ জন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে খেলতে হত। যাদের মধ্যে ১১ জন প্রতিপক্ষ দলের আর ১০ জন নিজের দলের।নিজের দলেই কে যে ফিক্সার আর কে যে নয়, সেটাই বোঝা সম্ভব ছিল না। কিন্তু আমি নিজেকে কোনওদিন স্রোতে ভেসে যেতে দিইনি। ক্রিকেটের সঙ্গে বেইমানি করনি।' এবার ওয়াসিম আকরামের কাছ থেকে কখনো কোনও দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব পাননি বলে জানালেন শোয়েব।