সৌরভকেই অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও সেরা নেতা বললেন প্রাক্তন পাক পেসার
সৌরভকেই অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও সেরা নেতা বললেন প্রাক্তন পাক পেসার
সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলিকে বাদ দিয়ে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই নিজের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। মহারাজকে তাঁর দেখা সেরা অধিনায়কও বলে মার্যাদা দিলেন রাউলপিন্ডি এক্সপ্রেস। ঠিক কী বলেছেন শোয়েব, তা জেনে নেওয়া যাক।
শোয়েবের প্রতিপক্ষ সৌরভ
এক ম্যাচে পাকিস্তান প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের বাউন্সার সৌরভের পাজরে আঘাত করেছিল। যন্ত্রণা-কাতর মহারাজ ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন। পরে মাঠে নেমে সেই শোয়েবকে জবাব দেওয়ার পাশাপাশি অর্ধশতরানও করেছিলেন। মহারাজের এই গুনকেই সম্মান করেন রাউলপিন্ডি এক্সপ্রেস। জানিয়েছেন, বিসিসিআই সভাপতির মতো সাহসী ব্যাটসম্যান তিনি দেখেননি। পাক কিংবদন্তির কথায়, গোটা বিশ্ব জানে যে শর্ট বলই কমজোরি ছিল সৌরভের। তাই বাইশ গজে মুখোমুখি হলে তিনি মহারাজকে শর্ট বলই বেশি করতেন বলে জানিয়েছেন শোয়েব। তবু প্রতি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সৌরভ দলের বাকি সদস্যদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন বলে বক্তব্য রাউলপিন্ডি এক্সপ্রেসের। তাঁর কথায়, লড়াকু প্রতিপক্ষই পছন্দ করেন তিনি। সৌরভ সেই তালিকার অন্যতম ছিলেন বলে জানিয়েছেন শোয়েব।
নেতা সৌরভের প্রতি শোয়েবের শ্রদ্ধা
১৯৯৯ সাল এবং তার আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলকে হারানো পাকিস্তানের কাছে খুব একটা কঠিন কাজ ছিল না। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অধিনায়ক হওয়ার পর সমীকরণ পাল্টে যায়। ২০০০-এর পর (বিশেষ করে ২০০৪-র সিরিজ) থেকে মহারাজ নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল, পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করতে শুরু করে। সেই ফলাফলের নিরিখে ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে অন্যতম সেরা বলে মর্যাদা দিয়েছেন শোয়েব আখতার।
কেকেআরে শোয়েব
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে মাত্র এক মরশুম খেলেছেন শোয়েব আখতার। সেই সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। বিসিসিআই সভাপতির অধীনে খেলে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন রাউলপিন্ডি এক্সপ্রেস।
অধিনায়ক সৌরভের সাফল্য
২০০০-এর ম্যাচ ফিক্সিং থেকে ঘুরে দাঁড়ানো ভারতীয় দলকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ঐতিহাসিক ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয় মহারাজের মুকুটে বিশেষ পালক যোগ করে। দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারানোর গৌবর ভুলবে না ভারতবাসী।
ভারতীয় হকিতে ফের করোনা থাবা, 'হাফ ডজন' খেলোয়াড় করোনায় ঘায়েল