নিউজিল্যান্ডে ভারতের পারফরম্যান্সে খুশি নন লেজেন্ড কোনে, তাঁকে ঘিরে থাকা কিছু ঘটনা স্মরণ করা যাক
নিউজিল্যান্ডে ভারতের পারফরম্যান্সে খুশি নন লেজেন্ড কোনে, তাঁকে ঘিরে থাকা কিছু ঘটনা স্মরণ করা যাক
ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টই হারে ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই বিপর্যয়ের জন্য বিরাট কোহলিদের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেছেন নিউজিল্য়ান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার জেরেমি কোনে। যিনি আশির দশকে দুর্দান্ত ব্যাটিং, স্পিরিট ও হাসি-ঠাট্টার জন্য মাহের ছিলেন। সেই তাঁরই সঙ্গে জুড়ে থাকা কিছু বর্ণময় ঘটনার কথা লেখনিতে তুলে ধরা হল।
জেরেমি কোনের কেরিয়ার
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর দেশের হয়ে ৫২টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৩৭.৫৭-র গড়ে ২৬৬৮ রান করেছেন। তাতে তিনটি শতরান ও ১৬টি অর্ধশতরান অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৮৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে ১৮৭৪ রান করেছেন জেরেমি কোনে। ৮১টি আন্তর্জাতিক উইকেটও রয়েছে কিউয়ি ক্রিকেটারের ঝুলিতে।
আচমকাই জাতীয় দলে ডাক
বর্ণময় জেরেমি কোনে আশির দশকে নিউজিল্যান্ড দলে ডাক পেয়েছিলেন আচমকাই। সেই সময় গ্লেন টার্নার আহত হলে তাঁর পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য কিউয়ি শিবিরে অন্তর্ভূক্ত হন জেরেমি। সেই সময় তিনি স্কুলে চাকরি করতেন। পড়ুয়াদের নিয়ে 'জোসেফ অ্যান্ড দ্য আমেজিং ড্রিমকোট' নাটকের মহড়াও শুরু করেছিলেন কোনে। পরে এক সাক্ষাৎকারে কিউয়ি লেজেন্ড বলেন যে তিনি নাটক করতে এবং করাতে ভালোবাসেন। তাই ক্রিকেটও তাঁর ভীষণ পছন্দের বলেও জানান জেরেমি কোনে। তাঁর মতে, ক্রিকেট ম্যাচের মুহূর্তগুলিও নাটকের দৃশ্যেরই মতো টানটান।
নটোরিয়াস বে ১৩
নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার টেস্ট খেলতে যান জেরেমি কোনে। মেলবোর্ন টেস্টে তাঁকে খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। সেই টেস্টে তিনি প্রথম একাদশে না থাকলেও কোনও এক কিউয়ি ক্রিকেটারের পরিবর্তে তিনি ফিল্ডিং করতে নেমেছিলেন। বেল ১৩-র কাছে বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দর্শকরা তাঁর নাম বিকৃত করার পাশাপাশি তাঁকে লক্ষ্য করে মাংসের টুকরো, মার্বেল ছুঁড়ে মেরেছিল বলে জানিয়েছেন জেরেমি। বলেছেন, তাঁর চারপাশ আবর্জনার স্তূপে এতটাই ভরে গিয়েছিল যে সেগুলি খাওয়ার জন্য মাঠে পাখিরা ভিড় করে।
বোলারদের বর্ণনা
৮০-র দশকে ২২ গজে বড় বড় বোলারদের পেস, বাউন্স ও সুইং সামলেছেন জেরেমি কোনে। কোন বোলার কেমন ছিলেন, তারও বর্ণনাও দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক।
১) ডেনিস লিলি : জেরেমি কোনের মতে দুর্দান্ত বোলিং অ্যাকশনের অধিকারি ছিলেন এই অস্ট্রেলিয় ফাস্ট বোলিং লেজেন্ড। পিঠে চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর বলে গতিও দুর্দান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন কোনে।
২) জেফ থমসন : বল করার আগের মুহূর্তে মাটি থেকে অনেকটা লাফাতেন লেজেন্ড জেফ থমসন। অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশনের জন্য থমসনের বলের গতি বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন জেরেমি কোনে।
৩) ম্যালকম মার্শাল : কোনের মতে গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কিংবদন্তি। তাতেই তিনি মাহের।
৪) ইমরান খান : পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খান অন্য ধরনের বোলার ছিলেন বলে দাবি জেরেমি কোনের। মানসিক ও শারীরিক ভাবে ইমরান খুব শক্ত ছিলেন। দুর্দান্ত বোলিং অ্যাকশনের জন্য পাক লেজেন্ড ভালো বাউন্সও পেতেন। সেই বল খেলা কখনও কখনও দুষ্কর হয়ে পড়ত বলে স্বীকার করেছেন জেরেমি কোনে।