রথী-মহারথীদের আড়ালে বিশ্বকাপের কিছু ছোট অথচ মূল্যবান ইনিংস
বিশ্বকাপের মঞ্চে রথী-মহারথীদের এরকমই কিছু ম্যাচ উইনিং ইনিংস ক্রিকেট প্রেমীদের স্মৃতিতে আজও টাটকা। কিন্তু তাঁদেরই আড়ালে বিশ্বকাপের রেকর্ড বুকে এমন কিছু ঝকঝকে ইনিংস অন্তর্ভূক্ত আছে,
১৯৭৯-র ফাইনালে ভিভ রিচার্ডসের ১৩৮।
২০০৩-র ফাইনালে রিকি পন্টিংয়ের ১৪০।
২০০৭-র ফাইনালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ১৪৭।
বিশ্বকাপের মঞ্চে রথী-মহারথীদের এরকমই কিছু ম্যাচ উইনিং ইনিংস ক্রিকেট প্রেমীদের স্মৃতিতে আজও টাটকা। কিন্তু তাঁদেরই আড়ালে বিশ্বকাপের রেকর্ড বুকে এমন কিছু ঝকঝকে ইনিংস অন্তর্ভূক্ত আছে, যেগুলি না হলে হয়তো ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হত। সেরকমই কিছু ছোট অথচ মূল্যবান ইনিংসের কথা উল্লেখ করা হল।
১৯৭৫-র বিশ্বকাপ ফাইনালে কেইথ বোয়েসের ৩৭ বলে ৩৪
বিশ্বকাপের প্রথম এডিশনের ফাইনালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে মুখোমুখি হয়েছিল ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইয়ান চ্যাপেলের অস্ট্রেলিয়া। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ডেনিস লিলি, গ্যারি গিলমার, জেফ টমসনের বিষাক্ত পেস ও সুইংয়ে ক্যারিবিয়ানদের টপ অর্ডার রীতিমতো আত্মসমর্পণ করে। অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েডের ৮৫ বলে ১০২ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ২০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেনে তোলেন কেইথ বোয়েস। রোহন কানহাই আউট হওয়ার পর ক্রিজে নেমে ৩৭ বলে অতি মূল্যবান ৩৪ রান করেন কেইথ। উইকেটরক্ষক বার্নার্ড জুলিয়েনের (অপরাজিত ২৬) সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ২৬০ পর্যন্ত পৌঁছে দেন কেইথ। ওই ম্যাচ ১৭ রানে জিতেছিল ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯৯২-র বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে ইনজামাম-উল-হক
১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। অধিনায়ক মার্টিন ক্রো-র ৯১ রানের দৌলতে প্রথম ৫০ ওভারে ২৬২ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। সেই সময় ক্রিজে নেমে অধিনায়ক ইমরান খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাউন্টার অ্যাটাক করেন তরুণ ইনজামাম-উল-হক। ৩৭ বলে ৬০ রান করেন ইনজি। ৪ উইকেটে ওই সেমি-ফাইনাল শুধু নয়, সেবার বিশ্বকাপও জিতেছিল পাকিস্তান।
১৯৯২-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কপিল দেব
বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ভালো শুরু করলেও মাঝে হঠাৎ-ই ছন্দপতন ঘটে। ১৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। ক্রিজের একদিক আঁকড়ে পড়েছিলেন তরুণ সচিন তেন্ডুলকর। অন্যদিকে, অল-রাউন্ডার কপিল দেবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২১৬ রানে পৌঁছতে সক্ষম হয় ভারত। ২টি চার ও একটি ৬ সহযোগে ২৬ বলে ৩৫ রান করেন কপিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৩ রানে অল-আউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
১৯৯৬-র কোয়ার্টার ফাইনালে অজয় জাদেজা
বেঙ্গালুরুর জ্যাম প্যাকড চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আমির সোহেল নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ভারত। ২০০ রানে ৪ উইকেট যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন অজয় জাদেজা। ২৫ বলে ৪৫ রান করেন এই ডান হাতি। ২৮৭ রান করে ভারত। ম্যাচটি ৩৯ রানে হেরে যায় পাকিস্তান।
২০১১-র কোয়ার্টার ফাইনালে সুরেশ রায়না
আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার ২৬১ রান তাড়া করতে নেমে যুবরাজ সিংয়ে সঙ্গে জুটি বেঁধে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীব ভারতকে ২০১১ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন সুরেশ রায়না। সাত নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৩৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন এই বাঁ-হাতি।