জানেন কি এমএস ও সাক্ষী ধোনির পরিচয় ঠিক কবে থেকে?
জানেন কি এমএস ও সাক্ষী ধোনির পরিচয় ঠিক কবে থেকে?
বাইশ গজে কবে প্রত্যাবর্তন ঘটবে মহেন্দ্র সিং ধোনির? সেই প্রশ্নই এখন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ক্রিকেট প্রেমীদের। কারণ ধোনি মানেই টিম ইন্ডিয়া এবং ক্রিকেট। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নাড়াচাড়া করার অভ্যাস খুব একটা নেই কারওরই। তা বলে কী জানতে ইচ্ছা একেবারেই করে না!
বন্ধুত্ব শৈশব থেকে
এমএস ধোনিকে নিয়ে বলিউডে তৈরি হওয়া সিনেমাতে যা দেখানো হয়েছে, তা-ই সঠিক বলে মনে করেন ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে সত্য কিন্তু অন্য। আদতে শৈশব থেকেই ধোনি ও সাক্ষীর পরিচয়। তাঁরা রাঁচিতে একই স্কুলে পড়তেন। তাঁরা একে অপরের খুব ভালো বন্ধুও ছিলেন। ধোনি ও সাক্ষীর বাবা একই সংস্থায় কাজ করতেন বলে শোনা যায়।
এরপর বিচ্ছিন্ন
সম্পর্ক তখনও তৈরি হয়নি, যখন সাক্ষীর পরিবার রাঁচি ছেড়ে দেরাদুনে চলে যান। এরপর শৈশবের বন্ধুর সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এমএস ধোনি এবং তাঁর পরিবারের। কিন্তু কপাল তাঁদের ফের একই জায়গায় দাঁড় করায়।
এক দশক পর দেখা
ওই ঘটনার প্রায় এক দশক পর, ভারতীয় দলে প্রতিষ্ঠিত এমএস ধোনি কলকাতায় ফের সাক্ষী রাওয়াতের মুখোমুখি হন। ২০০৭ সালে ডিসেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল ভারতের। সেই সূত্রে সতীর্থদের সঙ্গে তাজ বেঙ্গল হোটেলে উঠেছিলেন ধোনিও। সেখানে তখন ইন্টার্ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন সাক্ষী। সেখান থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়।
ধোনির চেষ্টা
তাজ বেঙ্গল হোটেলের ম্যানেজার যুধাজিত দত্তের কাছ থেকে সাক্ষীর মোবাইল নম্বর নেন এমএস ধোনি। শৈশবের বন্ধুকে মেসেজ করেন মাহি। যদিও সাক্ষীর মনে হয়েছিল, কেবল মজা করতেই ওই বার্তা পাঠিয়েছিলেন ধোনি। সাক্ষীর সঙ্গে পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপন করা এমএসের পক্ষে মুশকিল কাজ হয়ে দাঁড়ায়। প্রায় দুই মাস ধরে লাগাতার চেষ্টা চালানোর পর অবশেষে সফল হন মাহি। ২০০৮-র মার্চ মাসে প্রথম দেখা করেন যুগল। ২০১০ সালের ৪ জুলাই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।