২০ মার্চ : মহারাজ ও যুবরাজের দুর্দান্ত দুই নজিরের সাক্ষী বিশ্ব
২০ মার্চ : মহারাজ ও যুবরাজের দুর্দান্ত দুই নজিরের সাক্ষী বিশ্ব
২০ মার্চ কথা বলতেই সবার প্রথমে যে ছবি দুটি ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে ভেসে ওঠে, ব্যাট তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও যুবরাজ সিং। প্রেক্ষাপট ও সময় আলাদা হলেও একই দিনে ঘটা ভারতীয় ক্রিকেটের দুই উল্লেখযোগ্য ঘটনা আরও একবার স্মরণ করা যাক।
২০০৩-র ২০ মার্চ
দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের কিংসমিডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কেনিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ১৭৯ রানেই শেষ হয়ে গিয়েছিল কেনিয়া।
দাদার কীর্তি
ওই ম্যাচে ভারতীয় ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগের মধ্যে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৩৩ রান করে আউট হয়েছিলেন বীরু। এরপর সেই সময়ের ভারতীয় অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের মধ্যে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৮৩ রান করে আউট হয়েছিলেন সচিন। ১১১ রান করে নট আউট থেকে সাজঘরে ফিরেছিলেন মহারাজ। ইনিংসে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সৌরভ।
২০১১-র ২০ মার্চ
আট বছর পর, দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। চেন্নাই-র চিপক স্টেডিয়ামে হওয়া ওই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৬৮ রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ ৮০ রানে জিতেছিল মেন ইন ব্লু।
যুবরাজের কীর্তি
ওই ম্যাচে মাত্র ৫১ রানে ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগকে হারিয়ে ফেলেছিল ভারত। এরপর যুবরাজ সিং ও বিরাট কোহলির মধ্যে ১২২ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৫৯ রান করে আউট হয়েছিলেন বিরাট। ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন যুবি। তবে ব্যাট করার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভারতীয় অল রাউন্ডার। মাঠে তিনি বমিও করেছিলেন। তা সত্ত্বেও উঠে ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন যুবরাজ। বিশ্বকাপ শেষের পর জানা যায়, যুবির ওই অসুস্থতা ক্যান্সারের লক্ষণ।