বিসিসিআই-র সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা
বিসিসিআই সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিসিসিআই সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার মুম্বইতে বিসিসিআই-র সদর দফতরে মনোনয়ন জমা দেন বাংলার মহারাজ। কোনও অঘটন না ঘটলে সৌরভই যে বিসিসিআই-র সভাপতি হচ্ছেন, তা প্রায় নিশ্চিত।
সুপ্রিম কোর্ট মনোনিত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের নির্দেশ মতো ২৩ অক্টোবর বিসিসিআই-র পদাধিকারিদের নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই দিনই বিসিসিআই-র সাধারণ সভাও হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে ভোট যে হচ্ছে না, তা নিশ্চিত। কারণ দীর্ঘ এক সপ্তাহের আলোচনা, পর্যালোচনা, 'লবিং'র পর বিসিসিআই-র সভাপতি, সচিব সহ অন্যান্য পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী বলেই জানানো হয়েছে। তাই নির্ধারিত দিনে সাধারণ সভার মাধ্যমেই বিসিসিআই-র সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে হবে বলে সূত্রের খবর।
তবে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। একদিকে বিসিসিআই-র প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন অ্যান্ড কং ওই পদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করে। উল্টোদিকে বিসিসিআই-র আরেক প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর শিবির ওই পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম রাখে। প্রতিবারের মতো এবারও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। দুই শিবিরের সদস্যরাই এ ব্যাপারে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বলে জানা গিয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও নাকি ওই মন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন বলে খবর। দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক থাকার পাশাপাশি বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বা সিএবি-র সভাপতি পদে অভিজ্ঞতাই মহারাজকে এই পদের যোগ্য বানিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই বিসিসিআই-র সভাপতি পদে মেনে নিয়েছে বিরোধী শিবিরও।
সোমবার মুম্বইতে বিসিসিআই-র সদর দফতরে মনোনয়ন জমা দেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দফতরে প্রবেশ করতে দেখা যায় বিসিসিআই-র বিতর্কিত প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন, আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লাকে। বিসিসিআই-র দফতরের বাইরে একসঙ্গে ছবিও তোলেন তাঁরা।