সৌরভকে জার্সি ওড়ানোর প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে কী মন্তব্য সচিনের
সৌরভকে জার্সি ওড়ানোর প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে কী মন্তব্য সচিনের
লর্ডস আর সৌরভ মানেই ভারতীয় ক্রিকেটের স্মরণীয় সেই মুহূর্তে।২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ ফাইনালে সৌরভের ক্যাপ্টেন্সিতে ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয়। ৩২৬ রানের পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল সৌরভের ভারত। ৭৫ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মহম্মদ কাইফ। ৪ রানে নটআউট থাকেন জাহির। ঐতিহাসিক ম্যাচ জিতে লর্ডসের গ্যালারিতে জার্সি উড়িয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। ১৮ বছর আগের সেই ফ্রেম আজও ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম জনপ্রিয় মুহূর্ত। এবার সেই মুহূর্তের স্মৃতি উসকে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
|
সৌরভের পোস্ট
সৌরভের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক এই লর্ডসেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মহারাজ। অভিষেক টেস্টে দেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩০১ বল খেলে ১৩১ রান করেছিলেন। ২০টি চার হাঁকিয়ে ইনিংস সাজান। ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট মাঠে সেই শতরানের মূহূর্তের ছবি পোস্ট করেছেন সৌরভ।
সচিনের কমেন্ট
সৌরভের এই পোস্টের পরই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কমেন্ট করেন সচিন। সচিন-সৌরভ দীর্ঘদিনের বন্ধু। সৌরভের পোস্টে দিয়ে সচিন লিখেছেন, 'লর্ডসে সৌরভে আরও অনেক কীর্তি রয়েছে। ফ্যানেদের কী কিছু মনে পড়ছে? কোন কীর্তির কথা বলছি!'
|
সচিন যা বোঝাতে চাইলেন
সচিনের এই কমেন্ট ইঙ্গিত স্পষ্ট, লিটল মাস্টার আসলে ইংল্যান্ডকে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ফাইনালে হারানোর পর গ্যালারিতে জার্সি ওড়ানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন।
ফ্লিনটপের জার্সি ওড়ানো
২০০২ সালে ইংল্য়ান্ডের মাটিতে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের আগে মুম্বইয়ে ওডিআই সিরিজ খেলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই সিরিজে মুম্বইয়ে ভারত-ইংল্যান্ডের সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জেতান ফ্লিনটপ। সিরিজে ষষ্ঠ ম্যাচের ফাইনাল ওভারে ভারতের ম্যাচ জিততে ১১ রান প্রয়োজন ছিল। প্রথম তিন বলে ভারত ৫ রান নেয়। এরপর ফ্লিনটপ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে দুটি উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে সিরিজ ৩-৩ করেন। সেই সঙ্গে এই জয়ের জন্য মাঠেই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করেছিলেন।
সৌরভের জার্সি ওড়ানো
পাল্টা সৌরভ থ্রিলার ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জিতে লর্ডসের গ্যালারিতে জার্সি উড়িয়েছিলেন। ম্যাচে সচিন সেদিন বড় রান (১৪রান) না পেলেও সৌরভ ৬০ ও যুবরাজ সিং ৬৯ রান করেছিলেন। শেষটায় মহম্মদ কাইফ ৮৭ রান হাঁকিয়ে কঠিন ম্যাচ জিতিয়ে দেন।