দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে কী সংকেত দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিস্তারিত জানুন
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, দিন ও দিন-রাতের টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কেবল বলের (যথাক্রমে লাল ও গোলাপী)। সেই পার্থক্য দূর হওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন বিসিসিআই-র ভাবি সভাপতি।
সাধারণের উর্ধ্বে উঠে অন্যভাবে ভাবেন বলেই তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এখানেই তিনি সবার থেকে আলাদা। সেই অন্য় ধরনের ভাবনার বলেই বেলাইন হয়ে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটকে ট্র্যাকে ফিরিয়েছিলেন মহারাজ। এবার বিসিসিআই-র সভাপতি হয়েও যে তিনি অন্য রকম কিছু করবেন, তা তো স্বতঃসিদ্ধ। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর মুখে তেমনই এক আভাস দিলেন মহারাজ। পরোক্ষে জানালেন যে দিন-রাতের টেস্ট আয়োজনে তিনি আগের মতোই আগ্রহী।
২০১৮-১৯ মরশুমে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অ্যাডিলেড টেস্ট দিন-রাতের করাতে চেয়েছিল আইসিসি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি বিসিসিআই। যদিও এই ঘটনার এক বছর আগেই ইডেন গার্ডেন্সে ভবানীপুর ও মোহনবাগানের মধ্য়ে সিএবি সুপার লিগের ফাইনাল আয়োজন করে তাক লাগিয়েছিলেন বেঙ্গল বোর্ডের সভাপতি সৌরভ। এরপর থেকে বরাবারই দিন-রাতের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সওয়াল করে এসেছেন মহারাজ। বিসিসিআই-র সভাপতি হওয়ার আগে আরও একবার সেই প্রশ্নের উত্তর সোজা ব্যাটেই দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
সাধারণত সাদা বলের ক্রিকেট খেলা হয় রাতে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে এখনও সেই নিয়ম চালু হয়নি। ক্রিকেটের দুই ফর্ম্যাটে এমন আলাদা নিয়ম বন্ধ করার দাবি বহুদিন ধরেই করে আসছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই-র সভাপতি হওয়ার আগে আরও একবার সেই প্রসঙ্গের মুখোমুখি হন মহারাজ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই দাবি করেন, দিন-রাতের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত উজ্জ্বল। বিসিসিআই-র দায়িত্ব নিয়ে তিনি এ ব্যাপারে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছন সৌরভ।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ দিন-রাতের হবে। অজিরা পারলে ভারতও পারবে বলে মনে করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক্ষেত্রেও মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন বলে বিশ্বাস করেন মহারাজ। তাঁর দাবি, দিন ও দিন-রাতের টেস্টের মধ্যে পার্থক্য কেবল বলের (যথাক্রমে লাল ও গোলাপী)। সেই পার্থক্য দূর হওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন বিসিসিআই-র ভাবি সভাপতি।