চ্যাপেল অধ্যায় নিয়ে অকপট মহারাজ , যুগ পেরিয়েও ঘা দগদগে
দাদাপ্রেমীরা যেমন বিষয়টা ভুলতে তেমনি ভুলতে পারেননি দাদাও। বোরিয়া মজুমদারের সাম্প্রতিক বইয়ে ফের একবার উঠে এসেছে সেই অধ্যায়।
ঘটনাটা পায়ে পায়ে একদশক পেরিয়েছে, কিন্তু আজও ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে সেই ঘটনার দগদগে স্মৃতি। সেটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যা ও গ্রেগ চ্যাপেলের দ্বন্দ্বের বিষয়। যার জেরে শুধু অধিনায়কত্ব নয় ভারতীয় দল থেকেও জায়গা হারিয়েছিলেন মহারাজ।
দাদাপ্রেমীরা যেমন বিষয়টা ভুলতে তেমনি ভুলতে পারেননি দাদাও। বোরিয়া মজুমদারের সাম্প্রতিক বইয়ে ফের একবার উঠে এসেছে সেই অধ্যায়। সৌরভ বলেছেন, 'আমি গ্রেগকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমাকে কেন দলে রাখা হল না। ও আমার বলল আগে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করতে হবে। তাহলেই একমাত্র আমি দলে ফিরতে পারব। '
তিনি দাদা বলেছিলেন চ্যালেঞ্জার সিরিজ মিস করেছেন সৌরভ, তাই পুরোপুরি ম্যাচ ফিট তিনি নন। চ্যালেঞ্জারকে যে নির্বাচনের মাপকাঠি ধরা হবে এর আগে সে কথা জানানো ছিল না। তাই চমকে উঠেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ কয়েক বছরে দলের বাকি ক্রিকেটারদের থেকে সে সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রান বেশি ছিল।
দাদা বলেছেন, 'আমার কাছে পুরো বিষয়টা একটা শক ছিল, আমার নাম দলে নেই। আমার মনে হয়েছিল গ্রেগ আমার কেরিয়ার শেষ করে দিতে চাইছে। '
যদিও সৌরভের কেরিয়ার যে সেখানে শেষ হয়নি তা আজ আর কারোর অজানা নয়। সৌরভের কামব্যাক , মাদার অফ অল কামব্যাকের মধ্যে উজ্জ্বল। সৌরভকে বারবারই গ্রেগ চ্যাপেলের অধ্যায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ততবারই সৌরভ এড়িয়ে গেছেন। তবে এবারের 'ইলেভেন গডস অ্যান্ড এ বিলিয়ন ইন্ডিয়ান ' বইয়ে অকপট ধরা দিয়েছেন মহারাজ।
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গ্রেগ চ্যাপেলের সঙ্গে দারুণ সুসম্পর্ক ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরর। আর তাঁর উদ্যোগে দলের কোচ হিসেবেই এসেই ১৮০ ডিগ্রি বদলে গিয়েছিলেন অজি কোচ। বিদগ্ধ অধিনায়ক সৌরভ এত রকম অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেলেও এই গ্রেগ চ্যাপেল অধ্যায় তাঁর কাছে একদম অন্যরকম।
সৌরভ বুঝিয়ে দিয়েছেন গুরু গ্রেগ কীভাবে ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি করেছেন। কীভাবেই বা তাঁদের সম্পর্কের অবনতি হল। উঠে এসেছে ২০০৫ সালের সেই জিম্বাবোয়ে সফরের কথা। সে সময় স্লো ওভার রেটের কারণে ছ'ম্যাচের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন সৌরভ। অন্তর্বর্তী সময়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। সৌরভ বলেছেন, একদিন গ্রেগ তাঁকে দেখান তালিকা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড় বাদ। সৌরভের মনে হয়েছে, চ্যাপেলকে কেউ বুঝিয়েছিলেন, তিনি অধিনায়ক থাকলে খোলা হাতে গ্রেগ কাজ করতে পারবেন না।
এদিকে শুধু ক্রিকেট মহলই নয় এই বইয়ের নানা অধ্যায়ে যে এরকম নানা অজানা বিষয় উঠে এসেছে তা নিঃসন্দেহ বলা যায়। এই বই নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অলিম্পিক্সে ভারতের স্বর্ণ জয়ী শ্যুটার অভিনব বিন্দ্রা।