স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের
বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড হল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গুলাম হোসেন বোদির। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে
বিভিন্ন রকম দুর্নীতি ও ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড হল দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গুলাম হোসেন বোদির। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
২০০০ সালে প্রোটিয়া অধিনায়ক হ্যানসি ক্রোনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ২০০৪ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নতুন আইন করা হয়েছিল। সেই আইনের বেড়াজালে কারাদণ্ড হওয়া প্রথম ক্রিকেটার গুলাম বোদি। এর আগেই অবশ্য ২০ বছরের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ২০০৪ সালে প্রণয়ন করা দুর্নীতি ও অনিয়ম বিরোধী আইন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় যেকোনও খেলাধুলায় ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংকে গণ্য করা হয় অপরাধ হিসেবে। যার শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে গুলাম বোদিকে জেলে করতে হবে পাঁচ বছর।
বছরচারেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া র্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিং এবং অন্যদের প্রভাবিত করার অভিযোগে সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড ইতিমধ্যেই ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বোদির উপর। তখন প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড দাবি করেছিল, যথাসময় গুলাম বোদি ও তার চক্রকে ধরে ফেলায় কোনও ম্যাচের ফলাফলে ফিক্সিংয়ের প্রভাব পড়েনি। এরপর এই মামলাটি পুলিশকে হস্তান্তরিত করে। গতবছরের জুলাইয়ে গুলাম বোদি নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং নভেম্বরে তার অপরাধ প্রমাণিত হয়। অবশেষে গতকাল তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড শোনায় আদালত।
এদিকে গুলাম বোদি ছাড়াও ২০১৫ সালের ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ইথি বালাথি, থামি সোলেকিলে, জন সাইমস, লোনওয়াবো সোৎসোবে, পুমি মাথসুইকে এবং আলভিরো পিটারসেনদের ২ থেকে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এদের কাউকেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এরই মধ্যে নিজের শাস্তি কাটিয়ে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরেছেন পিটারসেন।