আজীবন নির্বাসন মামলা, আদালতে অদ্ভূত যুক্তি দিল বোর্ড! রায় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শ্রীশান্ত
আজীবন ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের সাজার বিরুদ্ধে শ্রীশান্তের আবেদনের মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টকে বিসিসিআই বলেছে, বুকিদের প্রস্তাবে তাঁর জবাব সঠিক ছিল না।
আইপিএল স্পট ফিক্সিং-এ বুকিদের প্রস্তাবে শ্রীশান্তের জবাব যথাযথ ছিল না বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল বিসিসিআই। আজীবন নির্বাসনের সাজা তুলে নেওয়ার জন্য শ্রীশান্তের আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা করেছিল ভারতীয় বোর্ড, তারই শুনানিতে বৃহস্পতিবার আদালতে এই যুক্তি দেওয়া হয়। তবে রায় তাঁর পক্ষেই যাবে বলে দাবি করেছেন শ্রীশান্ত।
এর আগে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শ্রীশান্তের কোনও দোষই ছিল না তা নয়। স্পট ফিক্সিং-এর প্রস্তাব পাওয়ার পরই তাঁর বিসিসিআই-কে জানানো উচিত ছিল। এই মামলায় তাঁর সব আচরণ সঠিক ছিল না।
কিন্তু এদিন বোর্ডের তাঁর আজীবন নির্বাসনের সাজা বহাল রাখার পক্ষে বলে বুকিদের প্রস্তাবে যে জবাব শ্রীশান্তের দেওয়া উচিত ছিল তা তিনি দেননি। আরও ভাল উত্তর দেওয়া উচিত ছিল তাঁর। এই যুক্তি ক্রিকেট ভক্তদের বিস্মিত করেছে। অনেকেই বলছেন বুকিদের না বলা ছাড়া আর কি বলতে পারতেন তিনি?
বুধবারই বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি কেএম জোশেফের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। শ্রীশান্তের আইনজীবি সর্বোচ্চ আদালতে অভিযোগ করেন, তাঁর আজীবন নির্বাসনের সাজা 'সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত'। আরও দাবি করেন দিল্লি পুলিশের 'লাগাতার নির্যাতন'-এর ফলে অভিযোগ মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন শ্রীশান্ত।
শ্রীশান্তের নির্বাসন তোলার পক্ষে বলা হয়, আদৌ কোনও স্পট ফিক্সিং হয়েছিল কিনা - তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে গত ৫-৬ বছর ধরে শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে। বলা হয় জনগণ ফের শ্রীশান্তকে খেলতে দেখতে চান। বিসিসিআই-এর প্রতিও তাঁর আনুগত্যের কখনও কোনও অভাব ছিল না।
এছাড়া মহম্মদ আজহারউদ্দিন থেকে শুরু করে হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, অজয় শর্মাদের মতো ক্রিকেটার দের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। যাঁরা ম্যাচ গড়াপেটার অপরাধে আজীবন নির্বাসিত হলেও পরে আদালতের রায়ে নির্বাসন মুক্ত হয়েছেন।
২০১৩ সালে আইপিএল-এ স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ায় শ্রীশান্তের। যার জেরে তাঁকে আজীবন নির্বাসিত করে বোর্ড। এই নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলাও হয়েছিল। ২০১৫ সালে অবশ্য এক ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশে সেই মামলার হাত থেকে অব্য়াহতি পান।
এরপরই আজীবন নির্বাসনের সাজার বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ৩৫ বছরের এই জোরে বোলার। কিন্তু, সেখানে তাঁর নির্বাসনের সাজা বহাল রাখা হয়। এরপরই শীর্ষ আদালতে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেলেন শ্রীশান্ত।